ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পর্নোগ্রাফির মতো কনটেন্ট আপ করলে ব্যবস্থা: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২০
পর্নোগ্রাফির মতো কনটেন্ট আপ করলে ব্যবস্থা: তথ্যমন্ত্রী তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী

ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিনোদন প্ল্যাটফর্মগুলোতে পর্নোগ্রাফির কাছাকাছি যে সমস্ত কনটেন্ট আপ করা হয় সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতি, সমাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক যে সমস্ত কনটেন্ট আপ করা হয়, সেগুলো এই ব্যাধিকে (ধর্ষণ) ছড়ানোর ক্ষেত্রে একটা ভূমিকা রাখছে বলে আমরা মনে করি।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা প্রসঙ্গে বিএনপিসহ অন্যান্য দল থেকে বলা হচ্ছে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন থেকে অন্যদিকে দৃষ্টি সরানোর জন্য এই আইন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কি এটা পছন্দ করেনি যে, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা হলো? বিএনপি যে বক্তব্য রেখেছে এতে প্রশ্ন দেখা দেয় এই আইন সংশোধন বিএনপির পছন্দ হয়নি।

রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমাদের মনে হয় যে, আইনমন্ত্রীর এই বক্তব্য আইওয়াশ ছাড়া কিছুই নয়। তার বক্তব্য চরম ধাপ্পাবাজি। দেশজুড়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে যে তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠেছে সেই আন্দোলনকে প্রশমিত করার জন্যই নতুন আইন তৈরির উদ্যোগের কথা বলা হচ্ছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার যেকোনো ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রেখে আইন সংশোধন করেছে। কারণ, আপনারা জানেন বাংলাদেশে এক সময় এসিড নিক্ষেপ বেড়ে গিয়েছিল। যখন কঠোর শাস্তির বিধান রেখে আইন হলো তখন কিন্তু এসিড নিক্ষেপ কমে গেছে। এখন বলতে গেলে প্রায় এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে না। একইভাবে আইন সংশোধন করে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখার প্রেক্ষিতে আমি মনে করি, এ ধরনের অপরাধও অনেক কমে যাবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শুধু আইন সংশোধন করার মাধ্যমেই আমাদের কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ রাখব না। আমরা জানি, বিচার যাতে দ্রুত হয় সেটার ওপরও সরকার গুরুত্বারোপ করছে। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও এন্টারটেইনমেন্ট প্ল্যাটফর্মগুলোতে যেভাবে আমাদের দেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতি, আমাদের সমাজের মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং অনেক ক্ষেত্রে পর্নের কাছাকাছি যে সমস্ত কনটেন্ট আপ করা হয়, সেগুলো কিন্তু এই ব্যাধিকে ছড়ানোর ক্ষেত্রে একটা ভূমিকা রাখছে বলে আমরা মনে করি। তাই সেগুলোর বিষয়েও আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২০
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।