ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সিলেট ও লাহিজানকে সিস্টার সিটি করার প্রস্তাব

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২০
সিলেট ও লাহিজানকে সিস্টার সিটি করার প্রস্তাব

ঢাকা: প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ বাংলাদেশ ও ইরানের দুই শহর সিলেট এবং লাহিজানকে সিস্টার সিটি করার ব্যাপারে একমত প্রকাশ করেছেন উভয় সিটি করপোরেশনের মেয়র।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে ইরানের গিলান প্রদেশের লাহিজান সিটি করপোরেশনের মেয়র ইউসুফ ক্বিয়ামাতিয়ুনের এক অনলাইন সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

 

এতে লাহিজান সিটি করপোরেশনের মেয়র ইউসুফ ক্বিয়ামাতিয়ুনের পক্ষ থেকে শহর দু’টিকে সিস্টার সিটিতে পরিণত করার প্রস্তাব দেওয়া হলে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানান।  

ঢাকার ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংলাপে ঢাকার ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সিলর ড. সাইয়্যেদ হাসান সেহাত উভয় মেয়রকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ দুই সিটি মেয়রের মধ্যে জুম কনফারেন্সের আয়োজন করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।

লাহিজান সিটি মেয়র ক্বিয়ামাতিয়ুন এ ধরনের একটি আলোচনার আয়োজন করার জন্য ড. সাইয়্যেদ হাসান সেহাতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, পারস্পরিক আলোচনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা এমন কাজ করতে পারবো যাতে উভয় সিটির অধিবাসীরা উপকৃত হতে পারবে। দু’টি সিটির মধ্যে কৃষি, সংস্কৃতি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং হাতে হাত রেখে সহযোগিতামূলক কর্মসূচি নেওয়া যেতে পারে। আমরা যদি সুন্দর একটি সূচনা করতে পারি তবে পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সুফল পেতে পারি।

সিলেট সিটি মেয়র  আরিফুল হক চৌধুরী বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত রেযা নাফার ও কালচারাল কাউন্সিলর ড. হাসান সেহাতকে ধন্যবাদ জানান। তিনি সিলেট নগরবাসীর পক্ষ থেকে লাহিজানের মেয়রকেও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।  

তিনি বলেন, ৩৬০ আউলিয়ার মাজারের শহর সিলেট। এটি চায়ের নগরী, পর্যটনের নগরী হিসেবে প্রসিদ্ধ। দুই সিটি যৌথভাবে পর্যটন নিয়ে কাজ করতে পারে। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়েও কাজ করতে পারে। পর্যটনস্পট ও রিসোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আদান-প্রদান করা যেতে পারে। প্রযুক্তিগত দিক থেকে ইরান অনেক উন্নত। তাই ইরানের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা পেলে সিলেটের ছয় লাখ অধিবাসী উপকৃত হতে পারবে। তিনি লাহিজান মেয়রকে বাংলাদেশে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান।

লাহিজান মেয়র বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ দেওয়ার জন্য সিলেট সিটি মেয়রকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পর প্রথম সুযোগেই আমি সিলেটে আসার ইচ্ছা পোষণ করছি। আমিও আপনাকে লাহিজান সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তবে এ সময়েও আমরা কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে চাই।  

আরিফুল হক বলেন, হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাযারে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আগমন করে। তাই সিলেটে ইসলামি রিসার্চ সেন্টার বা ইসলামি সেন্টার প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করছি। তিনি বলেন, সিলেটে একটি মিউজিয়াম গড়ে তোলা যেতে পারে যেখানে লাহিজানের জিনিসপত্র থাকবে। একইভাবে লাহিজানেও একটি মিউজিয়াম থাকবে যেখানে সিলেটের জিনিসপত্র থাকবে। তিনি সিলেট ও লাহিজানকে সিস্টার সিটিতে পরিণত করার ব্যাপরে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করার ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেটের সন্তান তাই তিনি ও তার মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে ভালো ভূমিকা পালন করতে পারেন।  

ড. সেহাত ইরানি রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকে ঘোষণা করেন যে, আলোচনায় যেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে সেগুলো বাস্তবায়নের ব্যাপারে তিনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন।  

সিলেট সিটি মেয়র আলোচনাকে যথার্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, চা-গবেষণা, উৎপাদন, আমদানি-রপ্তানির বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হতে পারে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২০
টিআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।