মাগুরার মেয়ে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীসহ তার দুই বোন ও মাকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারটি নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মাগুরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণর সাম্পাদক আলী হোসেন মুক্ত বাংলানিউজকে বলেন, এই ঘটনায় ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে মাগুরা জেলা সংগঠনের পক্ষ থেকেও সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ঐ বোনটি মাগুরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
মাগুরা সদর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন বাংলানিউজকে বলেন, হুমকিদাতা হাসান আল মামুন নামের ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্টধারী নিজেকে ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয় দিয়েছে।
তবে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের সংগঠনের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে অসৎ উদ্দেশ্যে কেউ ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে এ ধরনের হুমকি দিয়েছে। তারা ওই ছাত্রীকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে তার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।
জিডির সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী বলেন, সম্প্রতি সময়ে সারাদেশে ঘটে যাওয়া নারী ধর্ষণের প্রতিবাদ ও এ সকল ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করে তার ফেসবুক ওয়ালে একটি স্ট্যাটাস দেন।
এরপরে রোববার রাত ১টার দিকে হাসান আল মামুন নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তাকে ও তার কলেজ পড়ুয়া দুই বোন এবং মাকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে সোমবার পর্যন্ত তার ইনবক্সে তিনবার এ ধরনের হুমকি আসে। হুমকিদাতা নিজেকে ছাত্রলীগ কর্মী বলেও দাবি করেন। তবে সোমবার দুপুরে ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি রিমুভ করে নেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
ওই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী জানান, তিনি বিষয়টি সোমবার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন মুক্তকে অবগত করেছেন। ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক তাকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে দ্রুত বিষয়টি নিয়ে ওই ছাত্রীকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন মুক্তা বলেন, ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে অসৎ উদ্দেশ্যে কেউ ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে এ ধরনের হুমকি দিয়েছে। তারা এ ঘটনায় ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে সংগঠনের পক্ষ থেকেও সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ওই ছাত্রীকে বোন সম্বোধন করে তার পাশে থেকে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজওয়ান বলেন, ওই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। পুলিশ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও আইনগত সহায়তা দিচ্ছে।
গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিষয়টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
ইউবি