ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

১২ দফা দাবিতে শাহবাগ থেকে মানিকমিয়া অভিমুখে 'শেকল ভাঙার পদযাত্রা'

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
১২ দফা দাবিতে শাহবাগ থেকে মানিকমিয়া অভিমুখে 'শেকল ভাঙার পদযাত্রা' ১২ দফা দাবিতে শাহবাগ থেকে মানিকমিয়া অভিমুখে 'শেকল ভাঙার পদযাত্রা'। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সারাদেশে অব্যাহত ধর্ষণ-যৌন সহিংসতার সঙ্গে যুক্তদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক ও ন্যায্য শাস্তি নিশ্চিতসহ ১২ দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ থেকে মানিকমিয়া এভিনিউ পর্যন্ত 'শেকল ভাঙার পদযাত্রা' কর্মসূচী শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) রাত ১১.৫৯ মিনিট থেকে এ কর্মসূচী শুরু হয়ে চলবে ভোর চারটা পর্যন্ত।

‘শেকল ভাঙার পদযাত্রা' কর্মসূচীর আয়োজন করেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীবৃন্দ। আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পদযাত্রাটি শাহবাগ থেকে সিটি কলেজ, কলাবাগান হয়ে মানিকমিয়া এভিনিউয়ে পৌঁছাবে। এরপর সেখানে সমাবেশ এবং প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হবে।

আয়োজকদের একজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাপসী বাংলানিউজকে জানান, শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে মানিকমিয়া এভিনিউয়ের রাস্তায় আমরা হাঁটবো, গলা উঁচিয়ে প্রতিবাদ করবো, গান গাইবো, রাতের অন্ধকার ভেদ করে সবাইকে জানিয়ে দেবো আমাদের দাবির কথা। এই সমাজে বারবার নারীদের নিষ্পেষিত করা হয়। আর বাধ্য হয়ে নারীদের ঘরে থাকা নয়, পুরুষতান্ত্রিকতার বেড়াজালে আটকে থাকা নয়। ধর্ম-বর্ণ-রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে শুধুমাত্র লৈঙ্গিক পরিচয় 'নারী' হওয়ার কারণে যে জুলুম-অত্যাচার-বৈষম্য সহ্য করতে হয় প্রতিনিয়ত, তার বিরুদ্ধে আমাদের এই পদযাত্রা। দেশের ঘুমন্ত বিচারব্যবস্থাকে জাগাতে আমাদের শেকল ভাঙার পদযাত্রা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম দাবিগুলো হচ্ছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইন ও সামাজিকভাবে ধর্ষণের সংজ্ঞায়ন সংস্কার করতে হবে; পাহাড় ও সমতলের সকল নারীদের ওপর সকল প্রকার যৌন এবং সামাজিক নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে; প্রাথমিক লেভেল থেকেই পাঠ্যপুস্তকে যৌন শিক্ষা (গুড টাচ ব্যাড টাচের শিক্ষা, সম্মতি বা কন্সেন্ট এর গুরুত্ব, প্রাইভেট পার্টস সম্পর্কে অবহিত করা) যোগ করতে হবে;  ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ এর ১৫৫(৪) ধারা বিলোপ করতে হবে এবং মামলার ডিএনএ আইনকে সাক্ষ্য প্রমাণের ক্ষেত্রে কার্যকর করতে হবে।

এছাড়া মাদ্রাসার শিশুসহ সকল শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কোনো শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হলে ৯০ দিনের মাঝে দ্রুততম ট্রাইব্যুনালে অভিযোগের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা; জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুমোদিত পাঠ্যপুস্তকে নারী অবমাননাকর বার্তা প্রকাশ ও প্রচার করা নিষিদ্ধ; ধর্মীয় বক্তব্যের নামে অনলাইনে ও অফলাইনে নারী অবমাননাকর বক্তব্য প্রচার বন্ধ; যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে প্রান্তিক অঞ্চলের নারীদের সুবিধার্থে হটলাইনের ব্যবস্থা চালু করাসহ বিভিন্ন দাবি।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
আরকেআর/এইচএমএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।