ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ আইন বিষয়ে মতবিনিময় সভা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ আইন বিষয়ে মতবিনিময় সভা

ঢাকা: বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ‘মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নারী ও কন্যার প্রতি যৌন সহিংসতা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি’ শীর্ষক আহ্বান জানিয়ে পরিষদের প্রস্তাবিত ‘যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ আইন (খসড়া)’ বিষয়ে অনলাইন মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. জেড আই খান পান্না ও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের উপসচিব (ড্রাফটিং) জান্নাতুল ফেরদৌস।

আয়োজনের শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ আন্দোলনের অন্যতম আইন সংস্কার আন্দোলন। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মনে করে নারীর প্রতি সহিংসতা, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে একটি যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন দরকার।

আইনজীবী অ্যাড. জেড আই খান পান্না বলেন, যৌন হররানি বন্ধে সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশনা কার্যকর হয়নি। এর কারণ আইনের প্রয়োগের অভাব। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যৌন নির্যাতনের মামলা ১৮০ দিনে নিষ্পত্তি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয় না। কেন হয় না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা দরকার। পাশাপাশি আজকের বাস্তবতায় স্বাক্ষী সুরক্ষা আইন খুবই প্রয়োজন।

জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, পূর্ববর্তী সকল ধাপ পেরিয়ে তাদের কাছে আসলে আইনের খসড়া বিষয়ে তারা সুনির্দিষ্ট মতামত দেন। তিনি এই আইনের একটি ইংরেজি পাঠ প্রকাশের বিধানের বিষয়সহ কিছু ধারার কিছু অংশ সুনির্দিষ্ট করার পরামর্শ প্রদান করেন।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন শুধু নারীর একার সমস্যা নয়, এটা সামাজিক ইস্যু। আশার কথা হলো আজ অনেকেই, বিশেষ করে তরুণ সমাজ এটা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। তাদের পাশাপাশি যদি আইনজীবী, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজ সকলে বিষয়টি নিয়ে পথে নামেন তাহলে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন বন্ধের আন্দোলন একটি শক্ত ভিত্তি পাবে।

এসময় সংগঠনের ‘যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ আইন (খসড়া)’ উপস্থাপন করেন পরিচালক লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি ও লবি অ্যাড. মাকছুদা আখতার। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগম, আইন সংস্কার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য ড. শাহ্দীন মালিক, অ্যাড. জেয়াদ-আল-মালুম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি ডেপুটি ডিরেক্টর সুস্মিতা পাইক, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ.কে রাশদেুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসলিমা ইয়াসমীন প্রমূখ।

বাংলাদেশ সময়: ০২১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
এইচএমএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।