ঢাকা: মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য অধিদপ্তর গঠিত একাধিক তদারকি টিম কাজ করছে।
প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, নৌপুলিশ, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সাধন ও তদারকির জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মো. ইমদাদুল হকের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের টিম রয়েছে।
রোববার (১৮ অক্টোবর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইলিশ মাছ সংরক্ষণ অভিযান ঠিক মতো পরিচালিত হচ্ছে কিনা সেজন্য মন্ত্রণালয়ের ২২ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা ইলিশ সম্পৃক্ত ৩৬ জেলায় জেলা প্রশাসন এবং জেলা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে যথাযথভাবে অভিযান পরিচালনা হচ্ছে কিনা, হাট-বাজারে ইলিশ মাছ ক্রয়-বিক্রয় কিংবা মজুদ ও পরিবহন হচ্ছে কিনা এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় বরফ কল বন্ধ আছে কিনা, সে ব্যাপারে অভিযানিক এলাকা পরিদর্শন ও তদারকি করবেন।
অন্যদিকে ঢাকা মহানগরীর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, আড়ৎ, বাজার, সুপারশপ ও ইলিশ মাছ প্রাপ্তির সম্ভাব্য স্থানে দৈনিক নজরদারি ও অভিযান পরিচালনানা এবং প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য মৎস্য অধিদপ্তর গঠিত ৮টি মহানগর মনিটরিং টিম কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় সার্বক্ষণিক অবস্থান করে মাঠ পর্যায়ে পরিচালিত অভিযান ও মোবাইল কোর্ট এবং ভিজিএফ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও তদারকিসহ প্রতিদিন মৎস্য অধিদপ্তরে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত ৫টি বিভাগীয় মনিটরিং টিম কাজ করছে।
এছাড়াও বিভাগীয় মনিটরিং টিম, জেলা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে মাঠ পর্যায়ে পরিচালিত অভিযান ও মোবাইল কোর্ট এবং জেলেদের ভিজিএফ বিতরণ কার্যক্রম তদারকি ও সমন্বয়ের জন্য মৎস্য অধিদপ্তর গঠিত ১০ সদস্যের কেন্দ্রীয় মনিটরিং কমিটি কাজ করছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২০
জিসিজি/এমজেএফ