বরিশাল: বরিশালে জাতীয় সম্পদ ইলিশ সংরক্ষণে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১১ জেলেকে কারাদণ্ড ও পাঁচ জেলেকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় এক লাখ পাঁচ হাজার মিটার জাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে।
রোববার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় মেহেন্দিগঞ্জের বিভিন্ন নদীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পিজুস চন্দ্র দের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে ইলিশ মাছ আহরণের সময় নৌ-পুলিশের সহায়তায় ১৬ জেলেকে আটক করা হয়। পরবতীতে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ইলিশ মাছ আহরণের দায়ে ১১ জেলেকে এক মাস করে কারাদণ্ড ও পাঁচ জেলেকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ১৫ হাজার মিটার জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
অপরদিকে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিবুর রহমানের নেতৃত্বে কীর্তনখোলা নদীতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় চার হাজার মিটার জাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। পাশাপাশি জব্দকৃত ৩৫ কেজি ইলিশ মাছ বিভিন্ন এতিমখানায় ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়।
এছাড়া বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমীনুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ৭০ হাজার মিটার জাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং জব্দকৃত ৩৬ কেজি ডিমওয়ালা ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
এদিকে হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বকুল চন্দ্র কবিরাজের নেতৃত্বে অভিযানে জব্দকৃত সাত হাজার মিটার জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
এছাড়া বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাধবী রায়ের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে পাঁচ হাজার মিটার জাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
অপরদিকে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রণতি বিশ্বাসের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে তিন হাজার মিটার জাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২০
এমএস/আরবি/