ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মাসেতুর ৩৩তম স্প্যান বসতে পারে সোমবার

সাজ্জাদ হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২০
পদ্মাসেতুর ৩৩তম স্প্যান বসতে পারে সোমবার পদ্মাসেতু। ছবি: বাংলানিউজ

মুন্সিগঞ্জ: আবহাওয়াসহ সবকিছু অনুকূলে থাকলে পদ্মাসেতুর ৩৩তম স্প্যান বসতে যাচ্ছে সোমবার (১৯ অক্টোবর)। স্প্যানটি বসানো হবে মাওয়া প্রান্তের সেতুর ৩ ও ৪ নম্বর পিলারের উপর।

এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে সেতুর ৪ হাজার ৯৫০ মিটার।  

৩২তম স্প্যান বসানোর আট দিনের মাথায় বসতে যাচ্ছে এই স্প্যানটি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একদিনের মধ্যেই স্প্যানটি বসানো হতে পারে। তবে পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত দেখা দিলে দুইদিন সময় লাগতে পারে।  

রোববার (১৮ অক্টোবর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মূল সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের।

জানা গেছে, সেতুর ৩ থেকে ৭ নম্বর পিলার পর্যন্ত নৌযান চলাচলে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। স্প্যান বসানোর সময় নৌযান যাতে না চলাচল করে সেদিকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পদ্মাসেতু কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছে।
পদ্মাসেতুর প্রকৌশল সূত্র জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন স্প্যান বসানোর কার্যক্রমে ধীরগতি দেখা দেয়। পদ্মা নদীতে পানির গভীরতা অনুকূলে আসায় প্রকৌশলীরা স্প্যান বসানোর কাজে গতি আনার পরিকল্পনা করছেন। মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে 'ওয়ান সি' নামের ৩৩তম স্প্যানটি প্রস্তুত আছে। যা বসানো হবে মাওয়া প্রান্তে। আবহাওয়াসহ সবকিছু অনুকূলে থাকলে স্প্যানটি সফলভাবে বসানো সম্পন্ন হবে ওই দিন।  

স্প্যান বসানোর জন্য সোমবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে কার্যক্রম শুরু হবে। মাওয়া প্রান্তে ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের উপর বসানো আছে তিনটি স্প্যান। এই স্প্যানের সারির সঙ্গেই বসানোর পরিকল্পনা প্রকৌশলীদের।

আরো জানান, পদ্মাসেতুতে ৩৩তম স্প্যান বসানো গেলে বাকি থাকবে ৮টি স্প্যান। স্প্যানগুলো মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে আছে। এদিকে ৪১টি স্প্যানের ওপর ২ হাজার ৯১৭টি রোড স্লাব বসানো হবে। এ পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১ হাজার রোড স্লাব। এছাড়া রেললাইনের জন্য লাগবে ২ হাজার ৯৫৯টি রেল স্ল্যাব। এ পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১ হাজার ৬০০ রেলওয়ে স্ল্যাব।  
পদ্মাসেতুর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেনটি কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে অবস্থান করছে। নির্ধারিত সময়ে ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে নিয়ে যাবে। কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে পিলারের দূরত্ব খুব বেশি না থাকায় একদিনের মধ্যেই স্প্যানটি বসানোর ব্যাপারে আশাবাদী প্রকৌশলীরা।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।