ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ধর্ষণ মামলায় সাক্ষী হওয়ায় চাকরি হারালেন মসজিদের খতিব

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২০
ধর্ষণ মামলায় সাক্ষী হওয়ায় চাকরি হারালেন মসজিদের খতিব অভিযোগপত্র

পঞ্চগড়: ধর্ষণ মামলার সাক্ষী হওয়ায় পঞ্চগড়ে এক খতিবকে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে মসজিদের জমিদাতা মাহাবুব আলম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই মসজিদের মুসল্লিসহ স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

 

এদিকে ন্যায় বিচারের দাবিতে ওই খতিব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নে। অভিযোগকারী মোহিদুল ইসলাম সাজু বড়বাড়ি বাজার জামে মসজিদের খতিব (ইমাম) ও ডাংগাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। চাকুরিচ্যুত করা মাহাবুব আলম বড়বাড়ি এলাকার মৃত কাদের আলীর ছেলে এবং বড়বাড়ি বাজার জামে মসজিদের জমিদাতা।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, একটি ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় সাক্ষী হিসেবে নাম উল্লেখ থাকায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে তার ইমাম পদ বাতিল করেছে মাহাবুব নামে ওই ব্যক্তি। অথচ মসজিদের কেবল জমিদাতা হলেও সভাপতি/সম্পাদক এমনকি কমিটির কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নন তিনি।  

অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, দেড় মাস আগে আমার বড় ভাই জীবিকার তাগিদে শরীয়তপুরে কাজে যান। এদিকে সন্তানদের নিয়ে বাড়িতে ভাইয়ের বৌ (ভাবি) একাই থাকেন। এই সুযোগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) মধ্যরাতে প্রতিবেশী ভোগোম উদ্দীনের ছেলে ফারুক হোসেন (৪২) পরিকল্পিতভাবে ভাবির ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে চিৎকার শুনে আমরা এগিয়ে গেলে কৌশলে লম্পট ফারুক পালিয়ে যায়।

খতিব মোহিদুল বাংলানিউজকে বলেন, ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় ভাবি বাদী হয়ে পঞ্চগড়ে আদালতের মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন। সেখানে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আমাকে প্রথম সাক্ষী করা হয়। মামলা দায়েরের পর থেকেই ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে মাহাবুব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাতে থাকেন। একপর্যায়ে জমিদাতা হিসেবে প্রভাব দেখিয়ে আমাকে চাকরিচ্যুত করেন।

বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে মাহাবুব বলেন, ইমামের তেলোয়াতে ভুল থাকায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

এদিকে মামলার আসামি ডাংগাপাড়া গ্রামের ফারুক হোসেনের (৩৮) সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঘটনার পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর স্থানীয় গ্রামবাসীরা গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করে বখাটে ও নারী লোভী ফারুকের বিরুদ্ধে।  

এ বিষয়ে হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম বাংলানিউজকে বলেন, ইমামের চাকরিচ্যুত বিষয়ের অভিযোগ পেয়েছি এবং ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ফারুকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলছে সেই বিষয়েও অবগত রয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।