বরগুনা: বাংলাদেশ সরকার, প্রধানমন্ত্রী, এমপি-মন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তিমূলক বক্তব্য সম্বলিত লিফলেট প্রচার করায় সৌদি প্রবাসী ফয়সাল আহমেদ শরিফকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে।
বুধবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ওই মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুব্রত মল্লিক শুভ।
এর আগে মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) জনস্বার্থে এবং বহির্বিশ্বে দেশের সুনাম নষ্ট হওয়ায় দুপুরে পাথরঘাটা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সমাজসেবক রফিকুল ইসলাম কাকন বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
সৌদি প্রবাসী ফয়সাল আহমেদ শরীফ পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের সৈয়দ আহমেদ শরিফের ছেলে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের নয়া মিয়া হাওলাদারের ছেলে মো. ইমরান হোসাইন, সৈয়দ আহমেদ শরিফের ছেলে মো. জিয়া শরীফ ও মাসুম শরীফ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ফয়সাল আহমেদ শরিফ দীর্ঘদিন ধরে সৌদি থাকেন। সেখানে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী এবং রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্রমূলক ও দেশদ্রোহীমূলক বক্তব্য সম্বলিত লিফলেট প্রচার করায় বিদেশে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এজন্য ৫০০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে। এছাড়া জঙ্গি সংগঠনে অর্থ সহায়তাও করেন ফয়সাল শরিফ। অন্য আসামিদের দ্বারা সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দেশেও প্রচার করাচ্ছেন প্রধান আসামি ফয়সাল শরিফ।
মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম কাকন বলেন, ফয়সাল শরিফ বিদেশে থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের একজন নাগরিক হয়েও দেশের সরকার, সরকার প্রধান,এমপি-মন্ত্রীদের নিয়ে কটূক্তি করে যাচ্ছেন। আমি দেশের স্বার্থে মামলাটি করেছি। এরই মধ্যে আমাকে বিভিন্ন রকমের হুমকি দিয়ে আসছেন তিনি। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এপিপি মো. জাবির হোসেন বলেন, আসামিরা যা করেছেন তাতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কামাল হোসেন বলেন, মামলাটি আদালত অধিকতর পর্যালোচনা শেষে পিবিআইতে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২০
এসআই