ঢাকা, সোমবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জমি উদ্ধার করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কাছে হস্তান্তরের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২০
জমি উদ্ধার করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কাছে হস্তান্তরের দাবি সংবাদ সম্মেলন/ ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরে ৫১ বিঘা জমি উদ্ধার করে ৩৫০ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির মহাসচিব সালেহ আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির (জামুকা, নিবন্ধন নং ৭৯/২০১১) সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।

 

সালেহ আহমেদ  বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ রাজধানীর মিরপুর ১৫ নম্বর সেকশনের ১/২ নম্বর প্লটের ৫১ বিঘা জমি মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির (জামুকা, নিবন্ধন নম্বর ৭৯/২০১১) ৩৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নামে বরাদ্দ দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে, একটি প্রতারক চক্র ও সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের কিছু অসৎ ও মতলববাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শক্তিশালী সিন্ডিকেট গঠন করে মুক্তিযোদ্ধাদের জমি দখলের পায়তারা শুরু করে। প্রথমেই তারা সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরে জমাকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির নিবন্ধনের ফাইলটি হস্তগত করে এবং আসল কমিটির তালিকা অপসারণ করে বহিরাগত ও অমুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মনগড়া কমিটি জমা দিয়ে তা অনুমোদন করে নেয়। মূলত মুক্তিযোদ্ধা মুর্শেদুল আলম গংরা এই কাজটি করে।

সালেহ আহমেদ আরও বলেন, মুর্শেদুল আলম অমুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। তিনি ওই সংগঠনের মহাসচিব। মুর্শেদুল আলম একক ক্ষমতা প্রয়োগ করে বহিরাগত ব্যক্তিদের সদস্যপদ প্রদান ও অ্যাপার্টমেন্ট প্রদানের অঙ্গীকার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। বিশেষ স্বার্থে ৩৫০ জন সদস্যের পরিবর্তে মহাসচিব হিসেবে মুর্শেদুল আলম একক নামে নামজারি করেন। ৩৫০টি প্লট সদস্যদের মধ্যে বিতরণ না করে ওই জায়গায় অ্যাপার্টমেন্ট তৈরির জন্য ডেভেলপার কোম্পানি নিয়োগ দেওয়ার অনুমোদন পত্রও অবলীলায় হস্তগত করে।  

মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির এই নেতা  বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্যাড চুরি করে ও সংসদের যুগ্ম মহাসচিব শেখ সামছুল হক মোহনের দস্তগত জাল করে অনাপত্তি পত্র তৈরি করে মুর্শেদুল আলম গংরা। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে ঘটনা তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন প্রেরণের অনুরোধ জানালে তিনি তদন্ত করে প্রতিবেদন পেশ করেন। সেখানে মুর্শেদ গংদের নিবন্ধন বাতিল করার অনুরোধ করেন। পরে সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর মুর্শেদ গংদের নিবন্ধন বাতিল করে ঢাকার অতিরিক্ত কমিশনার মর্তুজাকে আহবায়ক করে ৫ সদস্যের একটি তত্ত্বাবধায়ক বডি গঠন করে সমিতির দায়িত্ব প্রদান করেন।  

নিবন্ধন বাতিলের ফলে মুর্শেদুল গংরা অবৈধ হয়ে গেছে দাবি করে সালেহ আহমেদ অবিলম্বে মিরপুরের জায়গার দখল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২০
টিএম/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।