চাঁদপুর: যাত্রীবাহী লঞ্চ আব এ জমজমের দ্বিতীয় তলার স্টাফ কেবিন থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে লঞ্চটির ইঞ্জিন গ্রিজারের কক্ষের কেবিন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
খবর পেয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার, চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিম উদ্দিন, চাঁদপুর নৌ থানার ওসি মো. জহিরুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ কক্ষটি লঞ্চের গ্রিজার মো. সুজন মোল্লা, মো. রাসেল ও মাসুম ব্যবহার করতেন। লঞ্চটির দুপুর ১টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও যেতে পারেনি।
গ্রিজার মো. সুজন মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টায় চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে লঞ্চটি। ৬৫০ টাকার বিনিময়ে আমি এক তরুণ ও তরুণীকে কেবিনটি ভাড়া দেই। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় কেবিনটি পরিষ্কার করতে গেলে কক্ষটি তালাবদ্ধ পাই। পরে টিকিট কাউন্টারে গিয়ে খবর নিলে কোনো চাবি দেওয়া হয়নি বলে জানা যায়। পরে কেবিন খুললে তরুণীর মরদেহ দেখতে পাই আমরা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তরুণীর পোশাকে থাকা ফিতা দিয়ে গলা পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। যেহেতু এক ব্যক্তি কক্ষটি ভাড়া নিয়েছেন। তাই ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাটি একজনই করেছেন। তবে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে।
লঞ্চটিতে সিসি ক্যামেরা না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২০
এসআই