ঢাকা, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

তাঁতীদের উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২০
তাঁতীদের উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ফাইল ফটো

ঢাকা: সরকার দেশের তাঁতীদের আর্থ-সামাজিক ও দক্ষতা উন্নয়ন, বন্ধ তাঁতকল চালুসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, দেশের শতকরা ৯০ ভাগই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প।

অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে এর গুরুত্ব অপরিসীম। সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও এসএমই খাতের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

বুধবার (২৮ অক্টোবর) অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল ২০২০ আয়োজন করা হয়েছে অনলাইনে। এই হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল চলবে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারের স্লোগান ‘আমার পণ্য আমার দেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও শিল্প সচিব কেএম আলী আজম। এতে সভাপতিত্ব করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম এবং ফেস্টিভ্যালের নানা দিক তুলে ধরেন অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্যাশন ডিজাইনার্স বাংলাদেশ (এএফডিবি) সভাপতি মানতাশা আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তাঁত বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাময় শিল্প। তাঁতীরা দেশের মানুষের পোশাকের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করছে। পণ্যভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন ও উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল আয়োজন প্রমাণ করে বাঙালি ঐতিহ্যের শেকড়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক এখনও রয়েছে।

২০১৬ সালে বাংলাদেশের জামদানি জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, যাতে তাঁর নিজের অবদান রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যগুলোর কদর ও চাহিদা রয়েছে। বয়নশিল্পীদের গৌরবের ধারক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী  তাঁতপণ্যগুলোকে জিআই পণ্যের তালিকায় যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে দেশের ঐতিহ্যবাহী ও সম্ভাবনাময় পণ্যগুলো চিহ্নিত করে সরকারকে সহায়তা করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প সচিব কেএম আলী আজম বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি ও বিলুপ্তি রোধে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তাঁতশিল্পের বিলুপ্তি রোধে সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তাঁতীদের উপযুক্ত প্রযুক্তি জ্ঞানসহ প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে তারা টেকসই পণ্য তৈরি করতে পারবেন। জিআই পণ্যের তালিকায় ঐতিহ্যবাহী পণ্যগুলোকে যুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২০
জিসিজি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।