গোপালগঞ্জ: হিন্দু শাস্ত্রমতে ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মী। তাই নানা আনুষ্ঠানিকতায় এ পূজা উদযাপন করা হয়।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পঞ্চমী তিথিতে লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করবেন গোপালগঞ্জের হাজারো হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। শুধু শহর নয়, গ্রাম পাড়া বা মহল্লার সব হিন্দু বাড়িতে এ পূজা হবে।
গোপালগঞ্জের হাজার হাজার সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের বাড়িতে মণ্ডপ তৈরি করে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রতিটি মণ্ডপের জন্য একটি করে লক্ষ্মী মূর্তি স্থাপন করা হয়।
এ উপলক্ষে জেলা শহরের গোহাটা সার্বজনীন কালীবাড়ীসহ জেলায় প্রায় দুই শতাধিক স্থানে লক্ষ্মী প্রতিমার হাট বসেছে। আবার কেউ কেউ বাড়ি বাড়ি গিয়ে মূর্তি বেচাকেনা করছেন। যে যার পছন্দ মত প্রতিমা কিনছেন। ছোট প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা এবং বড় প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত। যে যার সাধ্য মতো কিনছেন প্রতিমা। পাশাপাশি পূজার উপকরণ হিসেবে বিক্রি হচ্ছে নলডুগলি লতা, কলাগাছ, হলুদগাছ, পদ্ম ফুল ও শোলার মালা।
গোপালগঞ্জ শহরের মডেল স্কুল রোডের গীতা সাহা, মিয়াপাড়ার কল্পনা সাহা, ডিসি রোডের পরিমল সরকার ও মহাদেব সরকার বাংলানিউজকে বলেন, লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে শহরের সার্বজনীন কালীবাড়ী প্রতিমারহাট বসেছে। এখান থেকে প্রতিমা কিনেছি পূজা করার জন্য। প্রতিমার দাম গত বছরের মতো। এছাড়া পূজার অন্য উপকরণ কিনেছি।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বাজুনিয়ার শ্রীবাস পাল ও যোগেশ পাল বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছর আমরা লক্ষ্মী পূজার জন্য প্রতিমা তৈরি করি। বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকররা এসে বাড়িতে এসে প্রতিমা কিনে নিয়ে যায়। আবার জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করি। এ বছর করোনার কারণে কেনা-বেচা একটু কম। প্রতিমার সঙ্গে পূজার উপকরণও বিক্রি করি তাতে মোটামুটি ব্যবসা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২০
এনটি