নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মজিবর রহমানকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা উঠেছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে তিনি সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে শহরের নিয়ামতপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মজিবর রহমান বাংলানিউজকে জানান, কাজ শেষে বাস টার্মিনাল থেকে নিজস্ব মোটরসাইকেলে ফেরার পথে গতিরোধ করে শহরের কুন্দল এলাকার মমতাজের ছেলে ফরহাদ হোসেন ফিরোজ অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তার সঙ্গে আরও ৭-৮ জন মুখোশধারী যুবক ছিলো। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ফিরোজ তার হাতে থাকা ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। এতে তার ডান হাতের কব্জি, পিঠ ও পা কেটে যায়। পরে তার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে।
ফরহাদ হোসেন ফিরোজ বাংলানিউজকে জানান, কয়েকদিন আগে ফেসবুকে আমার মাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন মজিবর রহমান। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থামালে তিনি উল্টো উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এতে বাকবিতন্ডা হয় কিন্তু কোনো হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি।
সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাংলানিউজকে বলেন, দপ্তর সম্পাদক মজিবরের উপর সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা চালিয়েছে। তাকে এলোপাথারিভাবে অস্ত্রের আঘাতে গুরুতরভাবে আহত করে পালিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন বাংলানিউজকে বলেন, প্রকাশ্যে দিনের বেলায় এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলায় মজিবর রহমানকে মেরে ফেলার অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচিছ এবং দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বাংলানিউজকে জানান, ঘটনা শুনেছি এখনও লিখিত কোনো অভিযোগ আসেনি। এলে পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২০
কেএআর