ঢাকা, রবিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ইসলাম শান্তি ও ভালোবাসার ধর্ম: শাজাহান খান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২০
ইসলাম শান্তি ও ভালোবাসার ধর্ম: শাজাহান খান ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় শাজাহান খান

ঢাকা: সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ইসলাম শান্তি, ভালোবাসা ও দাওয়াতের ধর্ম। ইসলাম বোমাবাজি ও সন্ত্রাস করে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চের কাজী বশির মিলনায়তনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

আশেকানে গাউছিয়া রহমানিয়া মইনীয়া শহিদীয়া মাইজভান্ডারীয়া এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

শাজাহান খান বলেন, ইসলাম শান্তি, ভালোবাসা ও দাওয়াতের ধর্ম। ইসলাম বোমাবাজি ও সন্ত্রাস করে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। দাওয়াত ও মানুষকে ভালোবাসা দেওয়ার মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের মহানবীকে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক কষ্ট, ত্যাগ-তিতিক্ষা করতে হয়েছে। নবীজির জীবনে অনেক শিক্ষা আছে, যারা নবীজির জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন তারা কখনো পথভ্রষ্ট হয় না।

তিনি বলেন, ইসলামের নামে যারা কাজ করেন আল্লাহ রব্বুল আলামিন তাদের হেফাজত করেন। তাদের ওপর রহমত বর্ষণ করেন। কিন্তু যারা ইসলামের নামে নিজেদের স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করেন, নিজেদের আখের গোছান ও রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের জন্য অপচেষ্টা করেন তাদের ওপর আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন না।

শাজাহান খান আরও বলেন, জামায়াত একসময় বোলতো যারা দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেবে, তারা সবাই জান্নাতে যাবে। এই কথা বলে ২০১৫ সালে পেট্রোল বোমা মেরে তারা মানুষ হত্যা শুরু করলো। ৯২ জন ড্রাইভার-হেলপার, ৩ জন পুলিশ, ৩ জন বিজিবি জওয়ান, মুক্তিযোদ্ধা, রিকশাচালক, হকার, শ্রমিক অসংখ্য নারী ও শিশুকে পেট্রোল বোমা দিয়ে পুড়িয়ে মারলো। আল্লাহ কি তাদের (জামায়াতে ইসলামী) উদ্দেশ্য ও কর্ম সফল করেছেন? উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করার। আল্লাহ তাদের উদ্দেশ্য সফল করেন নাই।

আলোচনা সভায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেন, সারা বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহ এই দিনটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পালন করছে। নবী তার জীবনের প্রতিটা দিন, প্রতিটা মুহূর্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। অন্যায়কারীরা আমাদের নবীর ওপর অত্যাচার করেছে। কিন্তু তিনি (নবী) ধৈর্যের সাথে তাদের মোকাবিলা করেছেন। নবীজি তার জীবদ্দশায় যা করেছেন তার সবটুকু যদি আমরা অনুসরণ করতে পারতাম, ধর্মের নামে একে অপরের বিরুদ্ধাচার যদি না করতাম, তাহলে সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ থাকতো। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক দিয়ে মুসলিম উম্মাহ সারা বিশ্বকে শাসন করতো।

মাওলানা সৈয়দ সহিদ উদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন মহাসচিব প্রফেসর মাওলানা আবেদ আলী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২০
এমএমআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।