ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সংবিধানের সুফল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে: স্পিকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২০
সংবিধানের সুফল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে: স্পিকার

ঢাকা: দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে সংবিধানের সুফল বঞ্চিত মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারলেই এ সংবিধান সবার কাছে অর্থবহ হবে বলে মন্তব্য করেছেন  জাতীয় সংসদের স্পিকার  ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বুধবার (৪ নভেম্বর) বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের ৪৯তম দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত “বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন এবং ৭২ এর সংবিধান” শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী  বলেন, ‘সংবিধান’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গভীর অনুভূতির ফসল। স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনি বাঙালি জাতিকে উপহার দিয়েছেন বিশ্বসেরা অনন্য সংবিধান। এ সংবিধানের সঠিক প্রতিফলন ঘটাতে সংবিধানে অনুসৃত বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দর্শনের আলোকে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলার মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে শোষণ-বঞ্চনামুক্ত সমাজ ও অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ভাষা আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত যে আন্দোলন-সংগ্রাম, সেই আদর্শ-চিন্তা-দর্শনের প্রতিফলন ঘটেছে আমাদের সংবিধানে। সংবিধানের চারটি মৌলিক স্তম্ভ- জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা তিনিই সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো ছিল তার দর্শন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ১২ অক্টোবর ১৯৭২ গণপরিষদে এবং ৪ নভেম্বর ১৯৭২ সংবিধান প্রণয়নের দিনে বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ভাষণ দুটোতে সমগ্র সংবিধান প্রণয়নের কাঠামো ও প্রেক্ষাপটের পরিপূর্ণ প্রতিফলন রয়েছে। ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরের দিন ১১ জানুয়ারি  ১৯৭২ ‘প্রভিশনাল কনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ অর্ডার ১৯৭২’ প্রণয়ন করেন, যেখানে গণপরিষদকে সংজ্ঞায়িত করা হয়। পরবর্তীতে, ৪ নভেম্বর ১৯৭২ গণপরিষদ বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন করেন যা ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ থেকে কার্যকর হয়। বঙ্গবন্ধু সংবিধান প্রণয়নের কাজটি করেছিলেন দ্রুততার সঙ্গেই, কেন না দীর্ঘ সময় এদেশের মানুষ শাসনতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধুর কাছে স্বাধীন বাংলার মাটিতে বসে বাঙালিকে সংবিধান উপহার দিতে পারার চেয়ে বেশি আনন্দের আর কিছু ছিল না।

খন্দকার আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট আজহারুল্লাহ ভূইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট দীপক ঘোষ, অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান সিকদার, চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রকাশ রায়, হাসনাত ফারুক শিমুল রবিন প্রমুখ ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।                                                                                                                     

বাংলাদেশ সময়: ০০২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২০
এসকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।