খুলনা: খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে অবস্থিত হেলথ গার্ডেন নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিক থেকে এক হাজার ৬৫০ পিস ইয়াবাসহ দু’জন কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। অভিযানে ৫০ গ্রাম গাঁজা, গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদি এবং এক লাখ ৩০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
সোমবার (০৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে খুলনা জেলা প্রশাসন ও খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
ক্লিনিকের চিকিৎসক সুমন রায়ের কক্ষ (চেম্বার) থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।
আটক দুই কর্মচারী হলেন, আসাদুজ্জামান হিরা ও অথৈ। চিকিৎসক সুমন রায়ের কক্ষটি সিলগালা করে বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সুমন রায় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের খুলনা জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) খুলনা জেলা শাখার প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক এবং বিএমএ কেন্দ্রীয় শাখার কাউন্সিলর। ওই ক্লিনিকের মালিকানার একটি অংশ তার রয়েছে বলে জানা গেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রাসেল ইসলাম নূর।
তিনি বলেন, সুমন রায়ের কক্ষ থেকে ইয়াবা, গাঁজা এবং এক লাখ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে বিদেশি মদের বোতল ও গাঁজা এবং ইয়াবা সেবনের উপকরণও পাওয়া গেছে। এ কারণে ওই কক্ষটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। আটক হওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হবে।
ওই ক্লিনিকে মালিকানার কোনো অংশীদারিত্ব নেই বলে জানান ওই ক্লিনিকের মালিক খন্দকার আহসান উল্লাহ। তিনি দাবি করেন, সুমন রায়কে ক্লিনিকের কাজের অংশীদারিত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই ক্লিনিকে তার নিজস্ব চেম্বার থেকেই ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এমন ঘটনার পর তাকে আর ক্লিনিকে রাখা হবে কী না তা নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। যে দুইজনকে আটক করা হয়েছে তারা হাসপাতালের কোনো স্টার্ফ নয়, তারা সুমন রায়ের ব্যক্তিগত সহকারী।
জানতে চাইলে সুমন রায় বলেন, তিনি দুপুরের দিকে ডুমুরিয়া উপজেলায় নিজস্ব চেম্বারে রোগী দেখতে গিয়েছিলেন। বিকেলের দিকে হঠাৎ শোনেন তার কক্ষে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। যে দুইজন আটক হয়েছে তাদের কাছেই কক্ষের চাবি ছিল। তারাই কিছু করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২০
এরআরএম/এমআরএ
