ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মুজিববর্ষের বিশেষ অধিবেশনে সংসদে উৎসবের আমেজ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২০
মুজিববর্ষের বিশেষ অধিবেশনে সংসদে উৎসবের আমেজ

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ-২০২০) উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন ঘিরে সংসদ ভবনে ছিলো উৎসবের আমেজ। এ উৎসবমুখর পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মারক ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

সোমবার (৯ নভেম্বর) করোনা পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা মেনে সংসদের এ বিশেষ অধিবেশনের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সন্ধ্যা ৬টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অধিবেশন শুরু হয়।  

অধিবেশনকক্ষে নিজ আসনে বসেই উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানান স্পিকার। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সংসদের এ বিশেষ অধিবেশন। এসময় তিনি কবি শামসুর রাহমানের ‘ধন্য সেই পুরুষ’ কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘ধন্য সেই পুরুষ, নদীর সাঁতার পানি থেকে যে উঠে আসে/সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে;----জীবিতের চেয়েও অধিক জীবিত তুমি। ’

পূর্ব নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ করোনা পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ আসা সংসদ সদস্যরা অধিবেশন কক্ষে আসন গ্রহণ করেন। তবে বিরোধীদলের নেতা রওশন এরশাদ ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীসহ সিনিয়র কয়েকজন সংসদ সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। সরকারি দলের অধিকাংশ সংসদ সদস্য কালো মুজিব কোর্ট পরে অধিবেশনে প্রবেশ করেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সন্ধ্যা ৬টা ৭ মিনিটে অধিবেশন কক্ষে প্রবেশের সময় বিউগলে আগমনী বার্তা ও জাতীয় সংগীত বেজে ওঠে। এসময় সরকার ও বিরোধীদলের সংসদ সদস্যসহ অধিবেশন কক্ষে থাকা সবাই দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতিকে সম্মান জানান। এরপর স্পিকারের ডান পাশে রাখা আসন গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি। এরপর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দেওয়া দুর্লভ ভাষণ সংসদ কক্ষে দেখানো হয়। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শেষ হলে ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেন সংসদ সদস্যরা।

এরপর ৬টা ৩৪ মিনিটে স্পিকারের বাম পাশে রাখা ডায়াসে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি। এ সময় করতালির মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানান এমপিরা। ভাষণ শেষে রাষ্ট্রপতিকে সংসদের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থগুলোর উপহার দেন স্পিকার। পরে অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করেন রাষ্ট্রপতি। অধিবেশন ১৫ মিনিটের জন্য বিরতি দেওয়া হয়। বিরতির সময়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিরতি শেষে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় ও বর্ণাঢ্য জীবনের ওপর আলোচনার জন্য ১৪৭ বিধিতে সাধারণ প্রস্তাব উত্থাপন করেন গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য (সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনা। ওই প্রস্তাবটি নিয়ে সংসদে আলোচনা করবেন সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা। টানা চারদিন আলোচনা শেষে আগামী বৃহস্পতিবার প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে গ্রহণ করা হবে।

এ অধিবেশনকে ঘিরে সংসদ ভবন এলাকা ছিলো কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখিয়ে সংসদে প্রবেশ করেন সংসদ সদস্যসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২০
এসকে/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।