ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘যৌন সহিংসতা বন্ধে প্রজননস্বাস্থ্য শিক্ষা সহায়ক পরিবেশ জরুরি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২০
‘যৌন সহিংসতা বন্ধে প্রজননস্বাস্থ্য শিক্ষা সহায়ক পরিবেশ জরুরি’

ঢাকা: যৌন সহিংসতা বন্ধে কিশোর-কিশোরী ও যুবদের প্রজননস্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ে শিক্ষা সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

‘যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় শিক্ষাক্রমে যৌন ও প্রজননস্বাস্থ্য এবং অধিকার শিক্ষা অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক ওই ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান তারা। বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

ওয়েবিনারে বিএনপিএসর নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য (কারিকুলাম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান, পিএসটিসির নির্বাহী পরিচালক ড. নূর মোহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের চেয়ারপারসন ড. মোহাম্মদ মাঈনুল হোসেন, স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সামিনা চৌধুরী, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, এফপিএবির পরিচালক ডা. সঞ্জীব আহমেদ, সাংবাদিক নীলিমা জাহান, বিএনপিএসর উপপরিচালক মুজিব মেহদী, জাতিসংঘের কমিউনিকেশন বিভাগের ফোকাল তানজিম সোহরাব, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার (জেন্ডার অ্যান্ড এসআরএইচআর) মাশফিকা জামান সাটিয়ার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক।

ওয়েবিনারে অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, শিক্ষাব্যবস্থাকে জেন্ডার সংবেদনশীল করার বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ চলছে। সরকারের এ বিষয়ে শিক্ষাপ্রদানে সর্বোচ্চ সদিচ্ছা রয়েছে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কারিকুলাম রিভিউ করার কাজে যারা যুক্ত তাদের সবাইকে জেন্ডার সংবেদনশীলতা বিষয়ে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। আগামী ২০২১ সালের নতুন পাঠক্রমে এর প্রতিফলন ঘটবে।

সভাপতির বক্তব্যে রোকেয়া কবীর বলেন, যারা পারিবারিক-সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়কে নারীর প্রতি সহিংসতার কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান, তাদের ধারণা ত্রুটিপূর্ণ। কারণ আমাদের মূল্যবোধের মধ্যেই অনেক নারীবিরোধী উপাদান রয়েছে, যা নারীর প্রতি বৈষম্য ও নির্যাতনকে জোরদার করে। তাই নতুন মূল্যবোধ তৈরির জন্য কাজ করা দরকার, যেখানে সবাই সবার অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। শিক্ষাব্যবস্থা সে কাজটা করতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২০
এসই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।