ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘শেখ রাসেলকে সকল শিশুর প্রতীকী হিসেবে ধরে রাখতে চাই’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২০
‘শেখ রাসেলকে সকল শিশুর প্রতীকী হিসেবে ধরে রাখতে চাই’ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান

ঢাকা: শেখ রাসেলকে সকল শিশুর প্রতীকী হিসেবে ধরে রাখতে চান বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।

বুধবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে শেখ রাসেল স্মৃতি শিশু-কিশোর বিজ্ঞান প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর।

তিনি বলেন, শিশু শেখ রাসেলকে নিয়ে বলতে গেলে কষ্টে বুক ফেটে যায়। যার পিতা একটি স্বাধীন দেশ তৈরী করে দিলেন। যার মা সব সময় দেশের মানুষের কথা চিন্তা করেছেন, এজন্য সন্তানদের নিজে একাই লালন পালন করেছেন। সেই ছোট্ট শিশু রাসেলকে এই ভাবে জীবন দিতে হলো। কত বড় পাষণ্ড মানুষ হলে এতো ছোট্ট শিশুকে হত্যা করেছে। এটা খুবই বেদনাদায়ক।  

তিনি আরো বলেন, আমরা চাই সকল শিশুর প্রতীকী হিসেবে শেখ রাসেলকে ধরে রাখতে। যেহেতু বিজ্ঞান জাদুঘর শিশুদের জন্য তাই তাকে প্রতীক হিসেবে ধরে রাখতে চাই।

মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধে গিয়ে আমরা কেউ বেঁচে ফিরবো কি না, জানা ছিল না। কিন্তু সেদিন আমাদের স্বপ্ন ছিল, বাংলার প্রতিটি মানুষ ভালো থাকবে। এজন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে একবারও পিছপা হইনি। এজন্য আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার নেতৃত্ব আমরা নানা ঘাত-প্রতিঘাত পাড়ি দিয়ে দেশ স্বাধীন করলাম।  

স্বধীনতার কথা মনে পড়লে মাঝে মাঝে কষ্ট লাগে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতো কষ্ট করে দেশ স্বাধীন করলাম। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের কথা শুনলে কষ্ট লাগে। এজন্য বঙ্গবন্ধু দুঃখ করে বলতেন পাকিস্তান আমাদের সব নিয়ে গেছে। এই চোরদের নিয়ে গেলে বেশি খুশি হতাম।

বিজ্ঞান প্রতিটি মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে উল্লেখ করে ইয়াফেস ওসমান বলেন, আজকের পৃথিবীতে বিজ্ঞান ছাড়া চলবে না। করোনাকালে বিজ্ঞানই মানুষকে বাঁচতে শিখিয়েছে। প্রতিটি মুহূর্তে মানুষ বিজ্ঞান বহন করে জীবন পরিচালনা করছে। এই ধারাবাহিকতায় পৃথিবীর প্রতিটি দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। তবুও আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে।  

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক খান ও বিজ্ঞান সমিতির সহ সভাপতি মুনির হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২০
এসএমএকে/এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।