ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু নিজের জীবনের চেয়েও বাঙালিকে বেশি ভালোবাসতেন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২০
বঙ্গবন্ধু নিজের জীবনের চেয়েও বাঙালিকে বেশি ভালোবাসতেন

ঢাকা: নিজের জীবনের চেয়েও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে বেশি ভালোবাসতেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

বুধবার (১১ নভেম্বর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধু ৪ হাজার ৬শ’ ৮২ দিন কারাগারে ছিলেন—১৩ বছর। বঙ্গবন্ধু নিজের জীবনের চেয়ে বাংলাকে, বাঙালিকে বেশি ভালোবাসতেন। যখনই তিনি মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন তখনই তিনি বাংলার মাটি ও মানুষের কথা চিন্তা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে বন্দি থাকার সময় জেলের মধ্যে তার জন্য কবর খোঁড়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, মৃত্যুকে আমি ভয় পাই। তোমরা শুধু আমার লাশ বাংলার মাটিতে পৌঁছে দিও।

শেখ সেলিম আরও বলেন, এ দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম; প্রতি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি অত্যাচার-নির্যাতন, জেল-জুলুম সহ্য করেছেন। ৬ দফা দেওয়ার পর তিনি যেখানে বক্তৃতা দিয়েছেন সেখানেই গ্রেফতার হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পরিপূর্ণ নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ইন্দিরা গান্ধীকে বলেছিলেন আমার কিছু হবে না, আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তখন ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে ভারতে ব্যাপক আন্দোলন চলছিল।

শেখ সেলিম আরও বলেন, একদিন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে ফণিভূষণ মজুমদার বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করে বলেছিলেন আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, এটা কি আপনি জানেন? তখন বঙ্গবন্ধু ফণিভূষণ মজুমদারের কাঁধে হাত দিয়ে বলেছিলেন— দাদা আমার কিছু হবে না। আমি চিলির আয়েন্দের (সালভাদর আয়েন্দে) মতো হব না।

তিনি বলেন, জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক বেশি শক্তিশালী। যত দিন বাংলার আকাশ-বাতাস থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধুর নাম থাকবে। জিয়াউর রহমান এসে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। তারা মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান জয় বাংলার পরিবর্তে জিন্দাবাদ চালু করেছিল। স্বাগতমের পরিবর্তে খোশআমদেদ চালু করেছিল। জাতীয় সংগীতকেও তারা পরিবর্তন করতে চেয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২০
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।