ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস অস্বীকারের উপায় নেই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২০
বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস অস্বীকারের উপায় নেই

ঢাকা: বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস আমাদের অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ।

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনের সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। এর আগে গত সোমবার (৯ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতাকে সম্মান জানাতে ১৪৭ বিধিতে এ সাধারণ আলোচনার প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

বক্তৃতার শুরুতেই হারুনুর রশিদ বলেন, কোথা থেকে শুরু করবো বুঝতে পারছি না। আমার জন্য বক্তব্য দেওয়া কঠিন, সত্যিই খুব কঠিন। জাতীয় নেতাদের অবদান স্বীকার করা, অবশ্যই তাদের সম্মান আমাদের জানাতে হবে। আমি প্রধানমন্ত্রীর মায়ের একটি লেখা যা দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত, সেটা দিয়ে শুরু করছি। স্বাধীনতার পর এই লেখাটি ছাপা হয়।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে পাকিস্তানি বাহিনীর হানা এবং বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার প্রসেঙ্গ এসময় লেখাটি পড়েন সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ।

লেখা পড়া শেষ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানের আর্মির গ্রেফতার ও তার উপরে অত্যাচার নির্যাতনের আমি তীব্র নিন্দা জানাই। বঙ্গবন্ধু যখন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন, আমি তখন ৮ম শ্রেণীর ছাত্র। মুজিববর্ষ উপলক্ষে সংসদে প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাব এনেছে, সংসদে সদস্যরা আলোচনা স্মৃতিচারণ করছেন, এটার প্রয়োজন ছিল।

সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ বলেন, ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার হওয়া সিদ্ধান্ত ছিল সঠিক। তিনি ভারতে পালিয়ে যেতে পারতেন, কিন্তু পালিয়ে গেলে আন্তর্জাতিকভাবে তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হতেন। তিনি পালিয়ে না গিয়ে গ্রেফতার হন, আর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। স্বাধীনতার ঘোষক কে ছিলেন তা নিয়ে এখানে বিতর্ক আনা উচিত না। স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস আমাদের অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।

এ সময় হারুনুর রশিদ বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে এখন রাষ্ট্র মেরামতের কাজ শুরু করা প্রয়োজন। দুর্নীতি এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। ধর্ষণ ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করেছে। এসব সমূলে উপড়ে ফেলা ও রাষ্ট্র মেরামতের কাজ করতে হবে। আমরা অবশ্যই জাতীয় নেতাদের সম্মান দেবো। আমি বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০, নভেম্বর ১২, ২০২০
এসকে/এইচএমএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।