ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সরকারি ঘর দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২০
সরকারি ঘর দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চেংঠী দন্ডপাল মাঝাপাড়ায় চার লাখ টাকার সরকারি ঘর দেওয়ার নাম করে ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জাহিদুল ইসলাম জাহিদ নামে এক যুবলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে।

অভিযোগ উঠেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিনামূল্যে অসহায় দুস্থদের পাকা ঘর দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

টাকার বিনিময়ে এমন তিনটি ঘর পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে আবুল কালাম নামে এক দিনমজুরের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন জাহিদ। পরে তিনটি ঘরের স্থলে একটি ঘরের ব্যবস্থা হয়েছে।

এদিকে গত ২৮ অক্টোবর (বুধবার) একই এলাকার আবুল কালাম টাকা ফেরত চেয়ে উপজেলা প্রশাসন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চেংঠী দন্ডপাল মাঝপাড়ার নুরুদ্দীনের ছেলে আবুল কালামকে চার লাখ টাকার সরকারি ঘর দেওয়ার নামে এক লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে বলেন একই এলাকার হেফাজ আলীর ছেলে যুবলীগ কর্মী জাহিদুল ইসলাস জাহিদ (৩৬)। পরে এতো টাকা যোগার করতে না পেরে একপর্যায়ে গরু, ছাগল বিক্রি করে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে চারজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে নিজ বাড়িতে জাহিদকে ৮০ হাজার টাকা দেন আবুল কালাম। এদিকে পরে ঘর না দেওয়ায় টাকা ফেরত চান তিনি। কিন্তু টাকা না দিয়ে উল্টো দেবেন না জানিয়ে তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেন জাহিদ।

আবুল কালাম বাংলানিউজকে বলেন, আমি সহজ-সরল গরিব মানুষ। কর্ম করে খাই, আমার কোনো জমি নাই, বাবার যেটুকু আছে তাতেই কোনো মতে আছি। জাহিদ সরকারি তিনি ঘর দেওয়ার কথা বলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ঘর দেবেন বলে আমার কাছে এক লাখ টাকা চাইলে আমি অনেক কষ্ট করে তাকে ৮০ হাজার দিয়েছি। কিন্তু এখন মাত্র একটি ঘর দেওয়া হচ্ছে আমাদের। এ অবস্থায় আমি আমার টাকা ফেরত চাইতে গেলে টাকা না দিয়ে উল্টো দেবেন না জানিয়ে আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেন জাহিদ। তাই টাকা ফেরত চেয়ে অভিযোগ করেছি।

আবুল কালামের বাবা নুরুদ্দীন জানান, জাহিদ আমাদের এখানে ঘুরে বিভিন্নভাবে বলেন যে সরকারের ঘর বরাদ্দ এসেছে। কৌশলে আমার ছেলেকে কর্মস্থল থেকে ডেকে নিয়ে ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা নেন তিনি। যেখানে তিনটি ঘর দেওয়ার কথা ছিল, সেখানে একটি ঘর দিচ্ছেন। তাই আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি।

এ লেনদেনের অন্যতম সাক্ষী একই এলাকার আলমের স্ত্রী খাদিজা বেগম জানান, সরকারি ঘর দেওয়ার কথা শুনে জাহিদকে ৮০ হাজার টাকা দেন। তবে পরে টাকা ফেরত চাইলে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন জাহিদ।

এদিকে, অভিযুক্ত যুবলীগ কর্মী জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, আমি কোনো টাকা নেইনি। আমাকে ফাঁসানোর জন্য অভিযোগটি করা হয়েছে।

দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রত্যয় হাসান জানান, অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগটি থানায় দেওয়া হবে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২০
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।