ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রায়হান হত্যা: চিকিৎসা নিলেন রিমান্ডে থাকা এসআই আকবর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২০
রায়হান হত্যা: চিকিৎসা নিলেন রিমান্ডে থাকা এসআই আকবর

সিলেট: বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদ হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।  

হত্যা মামলায় মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) এসআই আকবরকে সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদকালে তিনি অসুস্থতাবোধ করলে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) রাত ৯টায় তাকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয় পিবিআই। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা শেষে ফের ‍রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।

সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ফারুক আহমদ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘এসআই আকবর অসুস্থ হলে পিবিআইর তত্ত্বাবধানে তাকে ওসমানী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা শেষে ফের নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক আওলাদ হোসেনকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এদিকে, রায়হানের পরিবারের পক্ষ থেকে শনিবার সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করা হয়েছে।

এর আগে সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে খাসিয়াদের সহযোগিতায় বরখাস্ত এসআই আকবর হোসেনকে কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের হাতে তুলে দেয় ভারতীয় খাসিয়ারা। খবর পেয়ে পোশাকে-সাদা পোশাকে পুলিশ ঘটনাস্থল ডোনা সীমান্ত এলাকা পৌঁছলে জনতা তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এরপর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আকবরকে সিলেটে আনা হলে সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহমদ।

গত ১১ অক্টোবর ভোর রাতে রায়হানকে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করা হয়। পরে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়।

‘রায়হান ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন’ পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হলেও নিহতের পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ ছিল পুলিশ ধরে নিয়ে ফাঁড়িতে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করেছে।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরিবারের অভিযোগ ও মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের তদন্ত দল ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর সত্যতা পায়। এতে জড়িত থাকায় ইনচার্জ আকবরসহ চার পুলিশকে বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। বরখাস্তকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন- বন্দরবাজার ফাঁড়ির কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাস। প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেন। ঘটনার পর অন্য ছয়জন পুলিশ হেফাজতে থাকলেও আকবর পলাতক ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০১৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২০
এনইউ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ