ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চেয়ারম্যান-কমিশনারদের অবসরকালীন সুবিধা চায় দুদক

দীপন নন্দী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২০
চেয়ারম্যান-কমিশনারদের অবসরকালীন সুবিধা চায় দুদক দুদক

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবসরকালীন সুবিধা চায় সংস্থাটি। তাদের চাকরি পেনশনযোগ্য করা এবং অবসর পরবর্তী সময়ে সপরিবারে তাদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণ করতে ইতোমধ্যেই দুদক সচিব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছেন।

দুদক সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বরাবর এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠান দুদকের সিনিয়র সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত।

চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, দুদকের চেয়ারম্যানের বেতন, আর্থিক সুবিধাদি ও পদমর্যাদা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারকের সমরূপ এবং কমিশনারদের বেতন, আর্থিক সুবিধাদি ও পদমর্যাদা সুপ্রিম কোর্টের, হাইকোর্টের বিভাগের একজন বিচারকের সমরূপ নির্ধারণ করা হয়েছে।

‘দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ধারা ৬ (৩) অনুযায়ী কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের চাকরির মেয়াদ তাদের যোগদানের তারিখ থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত মেয়াদ শেষে তাদের পুনঃনিয়োগ লাভের কোনো সুযোগ নেই। সেসঙ্গে আইনের ধারা ৯ এর ভাষ্য অনুযায়ী কর্মাবসানের পর তারা প্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হন না। ’

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দ্য সুপ্রিম কোর্ট জাজেস (রিম্যুনেশন অ্যান্ড প্রিভিলেন্স) অধ্যাদেশ, ১৯৭৮ এর ধারা ৫ অনুযায়ী, অবসর পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকরা সপরিবারে স্পেশাল মেডিক্যাল অ্যান্টেনডেন্স রুলস ১৯৫০ মোতাবেক চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকেন। এছাড়া দ্য সুপ্রিম কোর্ট জাজেস (লিভ, পেনশন অ্যান্ড প্রিভিলেন্স) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ এর ধারা ১৩ অনুযায়ী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকরা পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা পেয়ে থাকেন।

‘ওই আইনের ১৩ (ক) ধারা অনুযায়ী, একজন বিচারকের চাকরি ন্যূনতম ৫ বছর হলে তা পেনশনযোগ্য বলে বিবেচিত হয়। চাকরির সময়সীমা দুদকের চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের চাকরির মেয়াদের সমান। বর্ধিত অবস্থায়, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবসর জীবন নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য করার জন্য ওই অধ্যাদেশগুলো অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যৌক্তিক বলে কমিশন মনে করেন। ’

চিঠির শেষে দুদক সচিব মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে দ্য সুপ্রিম কোর্ট জাজেস (রিম্যুনেশন অ্যান্ড প্রিভিলেন্স) অধ্যাদেশ, ১৯৭৮ এবং দ্য সুপ্রিম কোর্ট জাজেস (লিভ, পেনশন অ্যান্ড প্রিভিলেন্স) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ অনুযায়ী দুদকের চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের চাকরি পেনশনযোগ্য করতে এবং অবসর পরবর্তী সময়ে সপরিবারে তাদের চিকিসা সেবা নিশ্চিতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান।

আইনানুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক প্রতি মাসে এক লাখ পাঁচ হাজার এবং হাইকোর্টের বিচারকরা ৯৫ হাজার টাকা করে প্রতিমাসে বেতন পান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২০
ডিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ