ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জামালপুরে স্থানীয়দের বাধায় থমকে আছে কামালপুর স্থল বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২০
জামালপুরে স্থানীয়দের বাধায় থমকে আছে কামালপুর স্থল বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম ছবি: বাংলানিউজ

জামালপুর: এক বছর আগে জমি অধিগ্রহণ পরেও থমকে আছে কামালপুর স্থল বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম। জমি অধিগ্রহণের পরেও কাজ করতে পারছে না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

কামালপুর স্থল বন্দরটি জামালপুরের একমাত্র স্থল বন্দর। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে স্মৃতি বিজড়িত কামালপুর স্থল বন্দর দিয়ে বছরে কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে সরকার। এই বন্দরের প্রধান আমদানী পণ্য হচ্ছে পাথর ও কয়লা।  

এছাড়া গম, কাঠ, টিম্বার, রাসায়নিক সার, মরিচ, রসুন, চাল, শুটকি মাছ, চুনাপাথর, বলক্লে, গমের ভুসি, গোল মরিচ, তেজপাতা, বিভিন্ন জাতের ডাল, টমেটো, জিরা, আদা, সুপারী, বিভিন্ন প্লাস্টিক সামগ্রীর কাঁচামাল, মাছের পোনা, তাজা ফলমুল আমদানী হওয়ার পাশাপাশি সকল সরকার অনুমোদিত সকল রপ্তানি হয়ে থাকে।

অবকাঠামোসহ নানান অসুবিধা থাকা স্বত্বেও চলতি অর্থ বছরে করোনার কারণে স্থল বন্দর বন্ধ থাকলেও প্রায়  ২কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আয় করেছে এই কামালপুর স্থল বন্দর।

গত ডিসেম্বর অধিগ্রহণকৃত ১৫.৮০ একর জমির ওপর বাউন্ডারি নির্মাণের দায়িত্ব পায় মের্সাস তমা কনস্ট্রাকশন। কিন্তু এক বছরেও স্থানীয়দের বাধার মুখে কাজ শুরুই করতে পারেনি।

এদিকে মের্সাস আশরাফুল ইসলাম জেবি স্থল বন্দরের ইয়ার্ড ও ড্রেন নির্মাণের কাজের পারমিট পেলেও তারাও কাজ শুরু করতে পারছে না।

দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ফরহাদ হোসেন জানান, অধিগ্রহণ কালে জমির মুল্য কম দাবী করে তারা কাজ করতে দিচ্ছে না।

এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস তমা কনস্ট্রাকশন সেলিম মিয়া জানান, স্থল বন্দরের কাজ করতে গেলেই স্থানীয়রা বাধা দেয়। ফলে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।

জামালপুর জেলা প্রশাসক এনামুল হক জানান, জমি অধিগ্রহণ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কী কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে সেটিও তিনি জানেন না।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে কামালপুর এলসি স্টেশনকে পুর্ণাঙ্গ স্থল বন্দর হিসাবে ঘোষণা করে বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ। পরে গত ডিসেম্বর মাসে স্থলবন্দরকে আধুনিয়কান করতে ১৫.৮০ একর জমি অধিগ্রহণ করে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। জমির মুল্য কম নির্ধারণ করায় উচ্চ আদালতের দারস্থ হয় জমির মালিকরা। উচ্চ আদালত তাদের রিটটি খারিজ করে দিলে আবার রিভিউ করে তারা।

১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর কামালপুর স্থল বন্দর হিসাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় এই স্থল বন্দরটি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। পরে স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে এটি এলসি স্টেশন হিসাবে চালু করা হয়। পরে ২০১৫ সালে এটিকে পুর্ণাঙ্গ স্থল হিসাবে ঘোষণা করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ০৬২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২০
ইউবি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।