ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চুয়াডাঙ্গায় কালেক্টরেট সমিতির কর্মবিরতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২০
চুয়াডাঙ্গায় কালেক্টরেট সমিতির কর্মবিরতি

চুয়াডাঙ্গা: পদবি পরিবর্তন ও গ্রেড উন্নতিকরণের দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় কালেক্টরেট সহকারী সমিতির সদস্যরা টানা কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একযোগে এই কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে।

 

গত ১৫ নভেম্বর থেকে একযোগে জেলার চারটি উপজেলাতে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। কর্মসূচি চলাকালে প্রতিদিন দিনভর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে আন্দোলনকারীরা অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভ ও সমাবেশ চালিয়ে আসছে।  

আন্দোলনকারীরা বলছেন, জেলা প্রশাসন, উপজেলা ও ভূমি অফিসে কর্মরত ১৬-১১ গ্রেডের কর্মচারীদের পদ পরিবর্তন ও বেতন গ্রেড উন্নীতিকরণের দাবিতে ২০০১ সাল থেকে আন্দোলন চলে আসছে। ২০১১ সালের ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রী পদবি পরিবর্তন সংক্রান্ত সার সাংক্ষেপ অনুমোদনও দিয়েছে। কিন্তু গত ৯ বছরে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এতে করে তৃর্ণমূলের কর্মচারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ কারণে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে।  

কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন জানান, ৯ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার পরও আমাদের দাবি পূরণ না হওয়ার ঘটনাটি দুঃখজনক। একই গ্রেডের প্রাথমিক শিক্ষক, সমাজ সেবা, পুলিশ বিভাগ, পরিসংখ্যান, অডিট, কৃষি ও প্রাণিসম্পদসহ জেলা প্রশাসনের অধিনে তহশীলদার ও সহকারী তহশিলদারদের গ্রেড পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে বিমাতা সূলভ আচারণ করা হচ্ছে।  

কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক জানান, নিয়মিত সময়সূচির বাইরেও আমরা রাতদিন পরিশ্রম করি। আমরা চাই মাঠ প্রশাসন থেকে সাধারণ মানুষকে সেবা দিতে। কিন্তু আমাদের যৌক্তিক ও ন্যায় সংগত দাবি দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত হয়ে আসছে। এতে করে আমাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।  

এদিকে, জেলা প্রশাসনসহ জেলার চারটি উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টানা কর্মবিরতির কারণে সেবা প্রত্যাশীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সেবা প্রত্যাশীরা অনলাইন, নকল সরবরাহ, ই-সেবা, রেকর্ডসহ প্রতিদিনের দাপ্তরিক কাজে এসে হয়রানির শিকার হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।