ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পাবনায় ‘স্বাধীনতা চত্বর’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

ডিস্ট্রিক্ট করসেপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২০
পাবনায় ‘স্বাধীনতা চত্বর’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ছবি: বাংলানিউজ

পাবনা: পাবনার ঐতিহাসিক পৌর টাউন হল বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল ‘স্বাধীনতা চত্বরের’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

রোববার (২২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের (ভার্চ্যুয়ালি) মাধ্যমে এর শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ইতিহাসের খ্যাতনামা ব্যক্তিদের স্মৃতি বিজরিত মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুলের নামে এই স্বাধীনতা চত্বরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে পাবনায় ছিল উৎসব মুখোর আমেজ।

ঐতিহাসিক পৌর টাউন হল স্বাধীনতা চত্বর থেকে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন স্বাধীনতা চত্বরের বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু।  

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদেরে সদস্য সাবেক দুদকের কমিশনার শাহাব উদ্দিন চুপ্পু, পাবনা পৌর সভার মেয়র কামরুল হাসান মিন্টু, মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের সহধর্মিনী নাসিমা উসলাম, পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু, পাবনা সদর-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য নূরুজ্জামান বিশ্বাস, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহম্মেদ ফিরোজ কবির, জেলা প্রশাসক (ডিসি) কবির মাহামুদ, পুলিম সুপার (এসপি) শেখ রফিকুর ইসলামসহ, বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের গণমাধ্যম কর্মী, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেত্রীরা।  
ছবি: বাংলানিউজ
করোনা সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরুত্ব বজায়ে রেখে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

অনুষ্ঠানের পাবনা থেকে ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কখা বলেন স্বাধীনতা চত্বরের আহ্বায়ক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু। তিনি মুক্তযুদ্ধ চলাকালীন সময় ও ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ নিহত পরিবারের সব শহীদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পরিচয়ও করিয়ে দেন।

প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্বাধীনতা চত্বরের নির্মাণকাজ চলতি বছরের মার্চ মাসে শেষ হয়। আধুনিকায়নের পর এই স্থানটি হলো উত্তরবঙ্গ তথা দেশের মধ্যে অন্যতম ‘স্বাধীনতা আমন্ত্রিত হিসাবে গণ্য হবে। যেখানে প্রতিটি ইট পাথরের নকশায় মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস বিদ্যমান। স্বাধীনতা চত্বরের প্রধান মঞ্চের দৈর্ঘ্য ৪৬ ফুট ও প্রস্ত ৪০ ফুট এবং উচ্চতা ২০ ফুট। যার দুই পাশে দু’টি গ্রিন রুম ও টয়লেটসহ ওয়াশরুম রয়েছে। যার দৈর্ঘ্য ১৮ ফুট ও প্রস্ত ২৪ ফুট। মাঠের দৈর্ঘ্য ১১৮ ফুট ও প্রস্ত ১১৭ ফুট। যার তিন দিকে দুই স্তরের বসার গ্যালারি রয়েছে। মাঠের উত্তর-পূর্ব কর্নারে প্রবেশের প্রধান ফটক ও দক্ষিণ ও পূর্ব কর্নারে ছোট একটি গেট রয়েছে।  

এছাড়া সর্বপরি পুরো মাঠে রয়েছে দৃষ্টি নন্দন সবুজ ঘাস। এই ঐতিহাসিক স্থানটি পুনরায় উন্মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে পাবনার বিভিন্ন সামাজি ও সাংস্কৃতি কর্মকাণ্ড প্রাণ ফিরে পাবে বলে মনে করছেন পাবনাবাসী।

** পাবনার ঐতিহাসিক টাউন হল ‘স্বাধীনতা চত্বর’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।