ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দেশে ভাস্কর্য আছে, থাকবে: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২০
দেশে ভাস্কর্য আছে, থাকবে: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা

ঢাকা: মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশকে কখনো আলাদা করা যায় না। এ দেশে ভাস্কর্য আছে, ভাস্কর্য থাকবে।

ভাস্কর্য থাকবে কি না সেটা নির্ধারণ করবে সরকার। যারা ধর্মের নামে ধর্মবিরোধী কাজ করে তাদের কাছে ভাস্কর্য থাকা না থাকার ইজারা দেশের জনগণ দেয়নি।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) সচিবালয় থেকে ইউএস এইড ও ওয়ার্ল্ড ভিশনের যৌথ আয়োজনে ‘মেল এনগেজমেন্ট ফর জেন্ডার ইক্যুয়ারিটি: সাসটেইনড ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড চেঞ্জেস ইন সাউথ ওয়েস্ট বাংলাদেশ ‘ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ইরাক, ইরান, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্কসহ মুসলিম অনেক দেশেই কিন্তু আমরা ভাস্কর্য দেখি। মৌলবাদী দলগুলো বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার যে হুমকি দিয়েছে তা অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ।

তিনি বলেন, যারা মসজিদ-মন্দির আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে, ধর্মবিরোধী কাজ করে, বিশ্ব ইজতেমায় আসা মুসল্লি ও  চলন্ত বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারে তাদের মুখে ধর্মের কথা মানায় না। যারা স্বাধীনতার মূল্যবোধ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী না তারাই ভাস্কর্য নিয়ে হুমকি-ধমকি দেয়।  

প্রতিমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দুই লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগ ও ৩০ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা বাংলাদেশের মাটিতে মৌলবাদীদের স্থান হবে না।

তিনি বলেন, ডিভিশন অব নেচার অ্যানালাইসিস করে দেখা যায় পুরুষেরা উপার্জনকারী ব্যক্তি হিসেবে সমাজে গণ্য হয়ে থাকে। নারীরা গৃহস্থলির কাজ করে তাদের কাজের মূল্যায়ন হয় না। নারীরা যেমন চ্যালেঞ্জ নিয়ে বাহিরে কাজ করছেন পুরুষদেরও তেমন ঘরের কাজ করা উচিত। যে পরিবারের স্বামী-স্ত্রী এক সঙ্গে কাজ করে সেখানে আর্থিক সমৃদ্ধি হয়। যার মাধ্যমে নারীরা ক্ষমতায়িত হয়।

তিনি আরও বলেন, আরও বড় পরিসরে কাজের মাধ্যমে  তৃণমূল পর্যায়ের নারীদের ক্ষমতায়েন ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি। নারী যত দ্রুত সব অর্থনৈতিক কার্যক্রমে জড়িত হবে তত দ্রুত দেশের উন্নয়ন সাধিত হবে।

ওয়ার্কশপের উপস্থাপিত গবেষণা প্রবন্ধের বলা হয়েছে, নবযাত্রা প্রকল্পটি খুলনার দাকোপ ও কয়রা, সাতক্ষীরার শ্যামনগর এবং কালিগঞ্জ এলাকায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে সেখানে পরিবারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ঘরের বাইরে নারীর কাজে অংশগ্রহণ ও বাল্যবিয়ের বিষয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। নয় হাজার ৮১৪ জন দম্পতির মধ্যে ৮৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ পুরুষ মনে করে পরিবারে নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। যা বেজলাইন সার্ভে ছিল ৪৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। ৪৪ দশমিক ১৬ শতাংশ পুরুষ মনে করে কাজের জন্য ও জরুরি প্রয়োজনে নারীদের বাড়ির বাইরে যাওয়া স্বাভাবিক। যা বেজলাইন সার্ভে ছিল ১৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। ৯২ দশমিক ৬৫ শতাংশ পুরুষ মনে করে গৃহস্থলি কাজে পুরুষদেরও সহায়তা করা দরকার।

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর সুরেশ বার্টলেটের সভাপতিত্বে ওয়ার্কশপে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউএন উইমেন কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিভ শোকো ইশিকাঊয়া ও ইউএস এইডের বাংলাদেশে মিশন ডিরেক্টর ডেরিক এস ব্রাউন, প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন ইউএস এইড বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট মাহমুদা রহমান খান ও  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  আইন অনুষদের অধ্যাপক তাসলিমা ইয়াসমিন।

এছাড়া ওয়ার্কশপে বক্তব্য রাখেন গবেষক, দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২০
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।