ঢাকা, বুধবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সুপেয় পানি পৌঁছে দিতে সব জেলায় টেস্টিং ল্যাব: মন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২০
সুপেয় পানি পৌঁছে দিতে সব জেলায় টেস্টিং ল্যাব: মন্ত্রী

ঢাকা: মানুষের কাছে সুপেয় পানি পৌঁছে দিতে দেশের সব জেলায় টেস্টিং ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, পৌর এলাকার পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহের লক্ষ্যে অনেক মেগা প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হচ্ছে। সরকার পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভূ-উপরিস্থ পানি বা সারফেস ওয়াটারের ব্যবহার প্রাধান্য দিচ্ছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালের মধ্যে আর্সেনিক দূষণ আক্রান্ত এলাকার প্রায় ২০ লক্ষ জনগণকে আর্সেনিক দূষণমুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহের আওতায় এবং নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা ৫ শতাংশ বৃদ্ধি ও ৭৫ শতাংশ জনগণকে বেসিক স্যানিটেশন কভারেজ ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে।

বুধবার (২ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষ থেকে সবার জন্য স্যানিটেশন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে সরকারি উদ্যোগ আরও জোরদার করার লক্ষ্যে এশীয় ও প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সংশ্লিষ্ট সেক্টরের মন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল সভায় যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সর্বাত্মকভাবে কাজ করছে সরকার। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) নিরাপদ পানি এবং স্যানিটেশন সংক্রান্ত লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পূরণ হবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির ৬ দশমিক ১ এবং ৬ দশমিক ২ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে দেশে ৯ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার প্রয়োজন। বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কাছ থেকে এ কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলার এবং বেসরকারি খাত থেকে প্রায় ১৩০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তার বিষয়ে অঙ্গীকার পাওয়া গেছে। ওয়াটার, স্যানিটেশন খাতে সরকারের বাৎসরিক বরাদ্দ প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধিপূর্বক এ সেক্টরে বর্তমান বাজেট গ্যাপ অর্ধেকে নামিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার।

বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন, হাত ধোয়া, পরিবেশ দূষণসহ স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে জীবনজীবিকা নির্বাহের বিষয়ে জনসচেতনতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে সুপেয় পানি এবং স্যানিটেশন পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।

সভায় আফগানিস্তান, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, লাওস, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মিনারমার, পাকিস্তান, ভূটানসহ এশীয় অঞ্চল দেশের মন্ত্রী এবং উন্নয়ন সহযোগীর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সবার জন্য স্যানিটেশন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে এশীয় ও প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সংশ্লিষ্ট সেক্টরের মন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীদের অংশগ্রহণে প্রতি দুই বছর পরপর বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তর ওয়াশিংটন ডিসিতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

করোনার কারণে এ বছর ওয়াশিংটনে একত্রিত হতে না পারলেও স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অলের আয়োজন ভার্চ্যুয়ালি এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২০
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।