ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য: রাষ্ট্রপতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২৪
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য: রাষ্ট্রপতি

ঢাকা: রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য। সম্মিলিতভাবে এ ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিতে আমাদের আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে।

আগামী বুধবার (৯ অক্টোবর) দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আবহমান বাঙালি সংস্কৃতিতে ঋদ্ধ অসাম্প্রদায়িক চেতনা, পারস্পরিক ঐক্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি একটি সুন্দর আগামী ও আধুনিক বাংলাদেশ গঠনে কার্যকর অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। বিশ্বে মানুষ ও মানবতার জয় হোক- এ প্রত্যাশা করি।

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, সারা দেশে যথাযথ উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদির মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা উদযাপন আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি অনন্য উদাহরণ।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার সঙ্গে মিশে আছে চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায় আবহমানকাল ধরে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে নানা আয়োজনের মাধ্যমে দুর্গাপূজা উদযাপন করে আসছে।

তিনি বলেন, দুর্গাপূজা ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি সামাজিক উৎসবও। দুর্গোৎসব উপলক্ষে সমাজের সব স্তরের মানুষ একত্র হন, মিলিত হন আনন্দ-উৎসবে। সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণ এ উৎসবকে সার্বজনীন রূপ দিয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি দুর্গাপূজা দেশের জনগণের মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ঐক্য সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। শারদীয় দুর্গোৎসব সত্য-সুন্দরের আলোকে ভাস্বর হয়ে উঠুক; ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও সুসংহত হোক- এ কামনা করি।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, শান্তি ও মানবতা সব ধর্মের শাশ্বত বাণী। ধর্ম মানুষকে ন্যায় ও কল্যাণের পথে আহ্বান করে, অন্যায় ও অসত্য থেকে দূরে রাখে, দেখায় মুক্তির পথ। তাই ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার পাশাপাশি আমাদের মানবতার কল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় জান-মাল, অবকাঠামো, কৃষি ও প্রাণিসম্পদসহ সার্বিক জীবনযাত্রা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বানভাসি মানুষের সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ মানবকল্যাণের জয়গানকে তুলে ধরেছে। জীবনধারণের জন্য নিরাপদ আশ্রয়, খাদ্য, ওষুধ ও নিরাপদ পানির পাশাপাশি বন্যার্তদের পুনর্বাসন ও দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ২২২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২৪
এমইউএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।