ঢাকা, বুধবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অসময়ে যমুনার ভয়াবহ ভাঙন, হুমকির মুখে প্রাথমিক বিদ্যালয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২০
অসময়ে যমুনার ভয়াবহ ভাঙন, হুমকির মুখে প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছবি: বাংলানিউজ

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে শুষ্ক মৌসুমেও যমুনার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। অসময়ে যমুনার ভাঙনের তাণ্ডবে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চর সলিমাবাদ গ্রামের পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।

 

এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম হোসেন বলেন, নদীভাঙন কবলিত চার গ্রামের দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরা এ স্কুলটিতে লেখাপড়া করে। আশপাশে আর কোনো স্কুল না থাকায় এ স্কুলটিই তাদের একমাত্র ভরসা। দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চল নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে। ধীরে ধীরে যমুনা স্কুলটির খুব কাছেই চলে এসেছে। যে কোনো সময় স্কুলটি নদীগর্ভে চলে যেতে পারে। বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে চলে গেলে চারটি গ্রামের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবার শঙ্কা রয়েছে। এখানকার মানুষগুলো অত্যন্ত দরিদ্র হওয়ায় দূরের কোনো স্কুলে পড়ানোর সাধ্য অভিভাবকদের নেই। শিগগিরই ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। বিষয়টি চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।  

এদিকে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক বাবুল আক্তার, জাহাঙ্গীর ফকির ও মজিবর রহমানসহ অনেকেই বলেন, স্কুলটি ভেঙে গেলে তাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে। দূরের কোনো স্কুলে তারা ছেলেমেয়েদের পাঠাতে পারবেন না।  

বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাহ্হার সিদ্দিকী বলেন, এ বিদ্যালয়সহ তার ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রামই যমুনার ভাঙনে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। অথচ এ ভাঙন রোধে তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।  

চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর ফিরোজ বলেন, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তিনি টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু তারা এখনও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় স্কুল ঘরটি ওই স্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে আপাতত নিরাপদ স্থানে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে জমি পেয়ে সেখানে ঘরটি তুলে স্কুলের কার্যক্রম চালানো হবে। এ সময় পর্যন্ত একটি মালিকানাধীন জায়গায় স্কুলের কার্যক্রম চালানো হবে।  

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভাঙন রোধে অচিরেই ওই এলাকায় জিওটেক্স বালুর বস্তা ফেলার কাজ শুরু করা হবে। এছাড়া ওই এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প জমা দেওয়া আছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলেই ওই এলাকায় স্থায়ী বাধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।