ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জমি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ৯ জন কারাগারে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২০
জমি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ৯ জন কারাগারে ইউপি চেয়ারম্যান কেরামত আলী বিশ্বাস

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় ভুয়া ওয়ারিশ সনদপত্র জালিয়াতি করে অন্যের জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় সদর উপজেলার ৯ নম্বর ঝাউদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কেরামত আলী বিশ্বাসসহ ৯ জনকে কারাগারে পাঠানো আদেশ দিয়েছেন আদালত।  

রোববার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহসিন হাসানের আদালতে ১১ জন অভিযুক্ত উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন।

তবে বিচারক দু’জনের জামিন মঞ্জুর করলেও ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন।

গ্রেফতাররা হলেন- ৯ নম্বর ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ও কেরামত আলী, ইউপি সদস্য গঞ্জের মণ্ডলের ছেলে আবুল কাশেম, ঝাউদিয়া গ্রামের ইউসুফ মোল্লার ছেলে রফকবুল মোল্লা ও বিটু মোল্লা, মিরপুর উপজেলার নগরবাকা গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে আরাম, ঈশ্বরদী উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে বাদল, লিয়াকত, কামাল হোসেন ও জামাল।  

এই মামলার অন্য দুই আসামি ঈশ্বরদীর ফতেপুর গ্রামের আব্দুল ওয়াহাবের কন্যাদ্বয় নারগিস এবং রেহেনা খাতুনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, কুষ্টিয়ায় সন্ত্রাসী কায়দায় অন্যের জমি জবর দখলের উদ্দেশ্যে ওয়ারিশ সনদপত্র জালিয়াতি করে একটি চক্র নিজেরাই ক্রেতা-বিক্রেতা সেজে অন্যের জমি কেনা-বেচা প্রক্রিয়ায় হাতিয়ে নেয়। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতির এই চক্রের সঙ্গে মোটা অংকের টাকা ভাগাভাগী বা হিস্যার বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অসাধু সদস্য, রাজনৈতিক প্রভাশালী ও জনপ্রতিনিধিদের প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে মামলা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত আশরাফুল আলম নামে এক ব্যক্তি।  

৯ নম্বর ঝাউদিয়া ইউনিয়নের নি:সন্তান মৃত জাহানারা খাতুন নামে এক নারীর ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে তার দেড় একর জমি দখল করার অভিযোগ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কেরামত আলী বিশ্বাসসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে।  

নালিশি মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে। সেখানে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আসামিদের স্ব-শরীরে আদালতে হাজির হওয়ার সমন জারি করেন। রোববার দুপুরে তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেছিলেন। পরে বিচারক ১১ জন অভিযুক্তের মধ্যে নারী দু’জনকে জামিন দেন, চেয়ারম্যান ৯ জনের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।