ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ফেরি চলাচল বন্ধ, যাত্রীদের অভিযোগ হোটেলে খাবারের দাম বেশি

সাজিদুর রহমান রাসেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২০
ফেরি চলাচল বন্ধ, যাত্রীদের অভিযোগ হোটেলে খাবারের দাম বেশি পাটুরিয়া ঘাট পয়েন্টের হোটেলের খাবার শেষে দাম দিচ্ছেন এক যাত্রী। ছবি: বাংলানিউজ

মানিকগঞ্জ: মধ্য রাত থেকে পদ্মা নদীতে কুয়াশার বাড়ায় ফেরির মার্কিং বাতির আলো অস্পষ্ট থাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ঘাট এলাকায় যানবাহনের সারি দীর্ঘ হচ্ছে।

এ কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন নৌ-পথ পারাপাড়ের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা। ফেরি বন্ধ থাকার সুযোগে পাটুরিয়া ঘাট পয়েন্টের হোটেল গুলো নিন্ম মানের খাবার সরবরাহ করে অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পাটুরিয়া ঘাট পয়েন্টে নৌপথ পারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা এসব অভিযোগ করেন।  

মাদারীপুরগামী পরিবহনের যাত্রী রাজিব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকা থেকে সোমবার (৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রওয়ানা হয়েছি। পাটুরিয়া ঘাটে রাত ১১টার দিকে পৌঁছে দেখি কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ। তারপর থেকে নৌপথ পারের অপেক্ষায় আছি।

তিনি বলেন, অপেক্ষায় থাকতে থাকতে ক্ষুধা লাগায় ঘাট এলাকার হোটেলে খেতে যাই। কিন্তু হোটেলগুলোর খাবারের মান এতটাই খারাপ যে সেগুলো খাবারের উপযোগী নয়। এছাড়া খাবারের দামও নিচ্ছে অতিরিক্ত।

সাঈদা নামের আরেক যাত্রী বলেন, ফেরির অপেক্ষায় থাকতে থাকতে ক্ষুধা বাড়ায় আমি রাতে ঘাট এলাকার হোটেলে খাবার খেতে গিয়ে দেখি বাসি রুটি গরম করে বিক্রি করছে হোটেল গুলো। এছাড়া খাবারের দামও দ্বিগুণ। হোটেল মালিককে বিষয়টি বলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলে উঠেন ‘আপনি কোন দেশ থেকে আসছেন, ভালো না লাগলে টাকা দিয়ে বের হন, ঝামেলা কইরেন না। ’

কুয়াশার কারণে মাঝে মধ্যে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। সে কারণে প্রশাসনের লোকজনদের ফেরি ঘাটের খাবার হোটেল গুলোতে নজর দেওয়া উচিত বলে পরামর্শ দেন পরিবহন যাত্রী সাঈদা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার (৭ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে মাঝ পদ্মায় কুয়াশার ঘনত্ব বাড়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কুয়াশার ঘনত্ব বাড়ায় মাঝ পদ্মায় নদীতে তিনটি ফেরি নোঙর করতে বাধ্য হয়।

কুয়াশার ঘনত্ব কমে এলে পুনরায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় কয়েক শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান ডিজিএম জিল্লুর।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।