ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইন চায় জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম

স্টাফ ক‌রেসপ‌ন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২০
কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইন চায় জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম

ঢাকা: কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি বন্ধে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনের জোট জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ।

বুধবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

‘সব কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, হাইকোর্টের নীতিমালা অনুযায়ী যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠন সংক্রান্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নে’র দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ।

জেন্ডার প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের পরিচালক নাজমা ইয়াসমীন বলেন, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি যৌন হয়রানি মুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। পরের বছর ১৪ মে হাইকোর্ট সব কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও নিশ্চিত করতে ১১টি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেন। কিন্তু সেগুলো সব কর্মক্ষেত্রে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

তিনি জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন কিংবা বাংলাদেশ শ্রম আইন থাকার পরেও কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আলাদা আইন কেন প্রয়োজন তা হাইকোর্ট তার রায়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। রায়ে বলা হয়েছিল কোর্টের এ আদেশ ও নির্দেশনাগুলো পার্লামেন্ট কর্তৃক আইন প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত অবশ্যই পালন করতে হবে।

এ সময় তিনি সরকারের কাছে পাঁচটি সুনির্দিষ্ট দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ২০০৯ সালে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করে সব ধরনের কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠন করতে হবে। যৌন হয়রানি মুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অনতি বিলম্বে সব কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন প্রণয়ন করতে হবে। সব কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি নিরসন বিষয়ক আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসমর্থন করতে হবে। সব কর্মস্থলে যাতায়াতের পথে এবং সমাজে নারী শ্রমিকের যৌন হয়রানি থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা, বীমা ও বেকারত্ব ভাতা নিশ্চিতকরণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী, বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব জেড এম কামরুল আনাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
পিএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।