ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কাস্টমস থেকে স্বর্ণ চুরির ঘটনায় আটক রাজস্ব কর্মকর্তার জবানবন্দি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
কাস্টমস থেকে স্বর্ণ চুরির ঘটনায় আটক রাজস্ব কর্মকর্তার জবানবন্দি বেনাপোল কাস্টমস

যশোর: যশোরের বেনাপোল কাস্টমস হাউজের ভোল্ট ভেঙে প্রায় ২০ কেজি স্বর্ণ চুরির মামলায় আটক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহিবুল সরদার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।  

তিনি বলেছেন ইতোপূর্বে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা অথবা অন্য কেউ নকল চাবি তৈরি করে ওই স্বর্ণ চুরি করে তাকতে পারে।

 

বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শম্পা বসু আসামির জবানবন্দি গ্রহণ শেষে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
 
আসামি শাহিবুল রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বাঁধুলী গ্রামের খালপাড়ার মৃত জালাল সরদারের ছেলে।

শাহিবুল সরদার জানিয়েছেন, তিনি বেনাপোল কাস্টমস হাউজের পুরাতন ভবনের ২য় তলার গোডাউনের দায়িত্বে ছিলেন। ওই গোডাউনের বিভিন্ন ভোল্টে স্বর্ণ ও বিদেশি মুদ্রা সংরক্ষিত ছিল। ২ মাস আগে তিনি পূর্বের কর্মকর্তার কাছ থেকে গোডাউনের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিলেন। এসময় কাগজপত্র অনুযায়ী ভোল্টের মালামাল মিলিয়ে নিয়েছিলেন। পূর্বের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ন্যায় তিনিও এ গোডাউনের চাবি বাড়িতে নিয়ে রাখতেন। তবে কখন কারা চাবি নকল করেছে তা তিনি জানেন না।  

মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত বছরের ৭ নভেম্বর রাত ৮টা থেকে ১১ নভেম্বর সকাল ৮টার মধ্যে যেকোনো সময় বেনাপোল কাস্টমস হাউজের পুরাতন ভবনের ২য় তলার গোডাউনের তালা  ভেঙে এবং ভোল্টের তালা খুলে ১৯ কেজি ৩১৮ দশমিক ৩ গ্রাম সোনা চুরি করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১০ কোটি তেতাল্লিশ লাখ ১৭ হাজার ৩৬২ টাকা। ওই ভোল্টের চাবি শাহিবুলের কাছেই থাকতো।  

এছাড়া গোডাউনের বিভিন্ন লকারে সোনাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিল। সেগুলো অক্ষত ছিলো। ঘটনার সময় সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিলো। বিষয়টি জানাজানি হলে কাস্টমস হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা এমদাদুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ গোডাউনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিবুলকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এরপর পুলিশ তাকে এ মামলায় আটক করে।  

তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক হাসান ইমাম গত (৬ ডিসেম্বর) রোববার আটক শাহিবুলের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন আদালতে। আদালত তাকে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। কিন্তু একদিন রিমান্ডে থাকার পরই শাহিবুল আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হন। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি এই জবানবন্দি দেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৪২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
ইউজি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।