ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা  ওয়েবিনারে বক্তারা

ঢাকা: যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা দিলে যৌন হয়রানি কমার পাশাপাশি যৌন রোগ থেকেও নিজেকে সুরক্ষা করা যায়। যৌন রোগে আক্রান্ত হলে কী করণীয়, সেটাও শেখা যায়।

সুতরাং একটি সুন্দর জীবনযাপনের জন্য শিক্ষার্থীদের যৌন স্বাস্থ্য শিক্ষারও প্রয়োজন রয়েছে। এজন্য যৌন শিক্ষা বিষয়ে পাঠদানের সময় শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যকার যে দেয়াল, সেটা ভেঙে দিতে হবে। সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে যৌন শিক্ষার ভুমিকা রয়েছে। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।  

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে কালের কণ্ঠ ও দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আয়োজনে এবং ইউনাইট ফর বডি রাইটস ও কিংডম অব দ্য নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতায় 'যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার সুরক্ষায় সার্বিক স্কুল ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা একথা বলেন।  

ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিএসএইচই) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, গুণগত শিক্ষায় যে পরিবর্তন আনতে চাই, এটার গুরুত্বপূর্ণ একটা দিক যৌন স্বাস্থ্য। আমরা যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা নিয়ে কাজ করছি। আমরা এ বিষয়ে একটা প্রকল্প নিয়েছি। সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে চালু করেছি। এখন সারাদেশে চালু করা হবে।  

তিনি বলেন, আগে যৌন স্বাস্থ্য বিষয়ে শিক্ষকরা পড়াতেন না, সেই চাপ্টার এলে সেটা বাদ দিয়ে পরবর্তী চাপ্টারে চলে যেতেন। আমরা এসআর এইচআর বিষয়ে শিক্ষকদের ট্রেনিং দিয়েছি। কিন্তু যৌন শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষকদের জড়তা কাটেনি। এখন আবার ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। ফলে বেশ দ্রুত শিক্ষকদের জড়তা কাটিয়ে উঠছে। এখন যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, সেটা বেশ কার্যকর।  

গোলাম ফারুক বলেন, শাহানা কার্টুন নামে একটা এপিসোড রয়েছে। যখন যৌন স্বাস্থ্য শিক্ষা দেওয়া হবে, তখন আগে যেন শাহানা কার্টুন দেখানো হয়, সেটা সব শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে আশার কথা হলো, শিক্ষকদের যৌন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, এটা বেশ কর্যকর পদক্ষেপ। এতে যৌন শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে যে তাবু রয়েছে, সেটা ভেঙে দেওয়া যাবে।  

সেফ ডেভেলপমেন্ট গ্রুপের লিড কনসালটেন্ট ডা. মাহমুদ হোসেন ফারুকী বলেন, শুধু নির্দিষ্ট শিক্ষকদের যৌন শিক্ষা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিলে লক্ষ অর্জন সম্ভব নয়। মাত্র ১৩ ভাগ শিক্ষককে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যদি এ বিষয়ে শতভাগ লক্ষমাত্রা অর্জন করতে হয়, তাহলে সব শিক্ষককে প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা সঠিক ভাবে করতে হবে, যাতে কোনো মেয়ে মাসিক শুরু হলে প্রয়োজনীয় উপকরণ পায়।  

স্বাগত বক্তব্য রাখেন কালের কণ্ঠ সম্পাদক ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন।  

কালের কণ্ঠের ডেপুটি চিফ রিপোর্টার তৌফিক মারুফের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ইউনিসেফের এডুকেশন স্পেশালিস্ট মো. ইকবাল হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন, পিএসটিসির নির্বাহী পরিচালক ড. নূর মোহাম্মদ, ইকেএন-এর সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজর মাশফিকা জামান সাটিয়ার, ডিএসকে-এর নির্বাহী পরিচালক ডা. দিবালোক সিংহ, এনসিটিবির সদস্য (কারিকুলাম) প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান,
এঅ্যান্ডএসএইচ ডিজিএইচএস এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. সজিবুর রহমান, এআরএইচ ডিজিএফপির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. জয়নাল হক ও আরএইচস্টেপের নির্বাহী পরিচালক কাজী সুরাইয়া সুলতানা।  

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএসকের যুগ্ম পরিচালক ডা. কল্লোল চৌধুরী। ওয়েবিনারে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন শিক্ষার্থী রেহেনা আক্তার, শিক্ষক মো.আনোয়ার হোসেন, একটি স্কুলের প্রধানশিক্ষক এ.কে.এম ইয়াহিয়া ও শিক্ষা কর্মকর্তা এম. আবু ওবায়দা আলী।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
টিএম/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।