ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঢামেক জরুরি বিভাগ চত্বরের ফোয়ারায় ময়লার স্তূপ

আবাদুজ্জামান শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
ঢামেক জরুরি বিভাগ চত্বরের ফোয়ারায় ময়লার স্তূপ ঢামেক জরুরি বিভাগ চত্বরের ফোয়ারায় ময়লার স্তুপ

ঢাকা: কয়েক বছর আগে ঢাকা মেডিক্যালে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চত্বরে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ফোয়ারা তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে এখন ময়লার স্তূপ।

হাসপাতালের ভেতর পরিত্যক্ত ফোয়ারায় ময়লার স্তূপ দেখে অনেকেই হতবাক।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢামেক জরুরি বিভাগ বার্ন ইউনিটে ঢোকার মুখেই ময়লায় ভরপুর পরিত্যক্ত ফোয়ারাটি দেখতে পাওয়া যায়। দেখেই বোঝা যায়, দীর্ঘ সময় ধরে এখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। অথচ এ ফোয়ারার সামনে দিয়েই হাসপাতালে রোগী নিয়ে প্রবেশ করেন স্বজনরা।

ফোয়ারার সামনে রোদ পোহানো অবস্থায় এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘এখানে যে ময়লা সেটা নিয়ে বলার আর কিছুই নেই, আপনারা তো দেখতেই পাচ্ছেন। এদিকে একদিকে দুর্গন্ধ, অন্যদিকে মশার কারখানা। ’

আরও এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘জরুরি বিভাগের একদম সামনেই এ পরিত্যক্ত ফোয়ারা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সবাই দেখতে পায়, অথচ এ ময়লা পরিষ্কারে কারো কোনো পদক্ষেপ নেই। অবাক কাণ্ড এত বড় হাসপাতাল সবাই এড়িয়ে চলে। ’

এ ব্যাপারে হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, তৎকালীন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমানের নির্দেশে হাসপাতাল চত্বরে বেশ কয়েকটি ফোয়ারা করা হয়েছিল। জরুরি বিভাগ চত্বরে দু’টি নতুন ভবনে একটি ও বহির্বিভাগে একটিসহ চারটি বক ফোয়ারা তৈরি করা হয়।

অন্যদিকে, বহির্বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল বাশার বলেন, ‘তৎকালীন পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান স্যারের তত্তাবধানে চারটি ফোয়ারা তৈরি করা হয়েছিল। এক-দেড় বছর সেগুলো ঠিকই ছিল। এখন সব পরিত্যক্ত। তবে জরুরি বিভাগের একটি ফোয়ারা ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাকি সব পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। ’

এ ব্যাপারে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাক্তার আলাউদ্দিন আল আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘১০ মিনিটের মধ্যে ফোয়ারাটা পরিষ্কার করা হবে, আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
এজেডএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।