ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঢামেকে বাতিল মালামালের স্তূপ থেকে অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা

আবাদুজ্জামান শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২০
ঢামেকে বাতিল মালামালের স্তূপ থেকে অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা ঢামেকে বাতিল মালামালের স্তূপ থেকে অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা

ঢাকা: ঢাকা মেডিক্যালে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ পকেটগেটের পাশে একটি খালি জায়গায় হাসপাতালে ব্যবহৃত বাতিল মালামাল স্তূপ করে রাখা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস বলছে স্তূপ করা বাতিল মালামাল থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি থাকে।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ পকেটগেটের পাশে একটি খালি জায়গায় ছাউনি তৈরি করে বাতিল মালামাল স্তূপ করে রাখার দৃশ্য চোখে পড়ে।

স্তূপ করে রাখা বাতিল মালামালের মধ্যে দেখা যায়, হাসপাতালের রোগীদের ব্যবহারের পর পরিত্যক্ত বিভিন্ন স্টিলের সরঞ্জাম। আরও আছে দরজা-জানালার পর্দা। এছাড়া, রয়েছে রোগীদের বিছানায় ব্যবহৃত ফোম, ভাঙা চেয়ার। হাসপাতালের ভেতর খালি জায়গায় ছাউনি তৈরি করে সেগুলো রাখা হয়েছে। ছাউনির আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সেগুলো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মকর্তার জানান, গত ৭-৮ মাস যাবৎ হাসপাতালে ব্যবহৃত পরিত্যক্ত মালামাল সেখানে মজুদ করে রাখা হয়েছে। সেখানে ফোম থেকে শুরু করে স্টিলের খাটসহ নানারকম বাতিল মালামাল আছে। এগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দার পাশে পকেটগেট দিয়ে ঢোকার সময় হাতের ডানদিকের খালি জায়গায় হাসপাতালে ব্যবহৃত বাতিল মালামাল সেখানে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এ শুকনো মৌসুমে সেখানে গাছের শুকনো পাতা পড়ে আছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ‘বাতিল মালামালের স্তূপে আগুন লাগার ঝুঁকি থাকে। এগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলাই ভালো।

এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিক্যালে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাক্তার আলাউদ্দিন আল আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে ব্যবহৃত পরিত্যক্ত মালামাল সেখানে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। যেহেতু এগুলো সরকারি মালামাল, প্রতিটি জিনিসের দর নির্ধারণ করে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। টেন্ডারের মাধ্যমে সেগুলো বিক্রি করা হবে। তাছাড়া, অগ্নিঝুঁকি, মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২০
এজেডএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।