ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘অভিবাসন খাতের উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২০
‘অভিবাসন খাতের উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে’ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ

ঢাকা: করোনা পরিস্থিতির উত্তরণ ও বাংলাদেশের অভিবাসন খাতের উন্নয়নের জন্য সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক আয়োজিত ‘ন্যাশনাল লেভেল স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন অন সেফ মাইগ্রেশন এবং সাসটেইনেবল রিইন্টিগ্রেশন ইন দ্য কনটেক্সট অব কোভিড-১৯ ক্রাইসিস’ শীর্ষক অভিবাসন খাতের জাতীয় পর্যায়ের অংশীজনদের এক পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।


 
মন্ত্রী বলেন, করোনা শুধু আমাদেরই নয়, বিশ্বব্যাপী একটি অপ্রত্যাশিত মহামারি। যাতে আক্রান্ত হয়েছে প্রতিটি খাত। করোনার কারণে অভিবাসন খাতে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে তা মোকাবিলা করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে এক ছাতার নিচে আসতে হবে, সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তাহলেই আমরা কার্যকরভাবে করোনা মোকাবিলা করতে পারবো। এ খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ঘটাতে পারবো।

করোনা মোকাবিলায় প্রবাসী কর্মীদের জন্য সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে ইমরান আহমদ বলেন, অভিবাসী কর্মীদের জন্য আমাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের জন্য নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা চাই, সরকার তাদের জন্য যে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে তা যেন তাদের পরিবার ভোগ করতে পারে।

অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, অপ্রত্যাশিত করোনা শুরু হওয়ার পর আমাদের সামনে মূলত পাঁচ ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রথম যারা বিদেশে আছেন তারা কীভাবে সেখানে ভালোভাবে থাকতে পারেন, চাকরির নিশ্চয়তা পেতে পারেন। দ্বিতীয়ত যারা ফিরে আসতে চাচ্ছেন তাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন কীভাবে নিশ্চিত করা যায়। তৃতীয়ত যারা ফেরত এসেছেন তাদের কীভাবে আবার পাঠানো যায়। চতুর্থত যারা দেশেই থাকবেন তাদের কীভাবে সমাজে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা যায়। সর্বশেষ নতুন করে কীভাবে আবার বৈদেশিক কর্মসংস্থান শুরু করা যায়। সরকারের নানামুখী উদ্যোগের ফলে আমরা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছি।
 
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড বাংলাদেশের অভিবাসন খাতে সুইজ সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএমইটির মহাপরিচালক মো. শামসুল আলম। এতে অভিবাসনের সাম্প্রতিক চিত্র ও প্রবণতা নিয়ে বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বিএমইটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীর খাইরুল আলম। নিরাপদ অভিবাসন ও কার্যকর পুনঃএকত্রীকরণের বিষয়ে কীভাবে সম্মিলিতভাবে কাজ করা যায় সে বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান।
 
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বায়রার সভাপতি সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বিএমইটি, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড, বোয়েসলের কর্মকর্তা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২০
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।