ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গুনে দেওয়ার কথা বলে ব্যাংক গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও প্রতারক!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২০
গুনে দেওয়ার কথা বলে ব্যাংক গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও প্রতারক! প্রতীকী ছবি

নরসিংদী: নরসিংদীর মাধবদীতে প্রবাসী স্বামীর পাঠানো টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলনের পর প্রতারণার শিকার হয়েছেন এক নারী। ব্যাংক কর্মকর্তার কাছ থেকে ৫১ হাজার টাকা উত্তোলনের পর তা গুনে দেওয়ার কথা বলে ওই টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে এক প্রতারক।

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে মাধবদীর সোনালী ব্যাংকের শাখায় এ প্রতারণার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মাধবদী থানার পুলিশ সোনালী ব্যাংকের ওই শাখায় এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে ব্যাংকটির ওই শাখায় কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় প্রতারক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পারছে না পুলিশ। পরে কোনো উপায় না পেয়ে ওই নারী অশ্রুভেজা চোখে বাড়ি ফিরে যান।

প্রতারণার শিকার ওই নারীর নাম হালিমা বেগম (৪০)। তিনি মাধবদীর খিদিরকান্দি গ্রামের কুয়েত প্রবাসী পরশ আলীর স্ত্রী। অন্যদিকে প্রতারক ওই ব্যক্তির বয়স ৫০ এর কাছাকাছি।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য এই প্রথম টাকা পাঠিয়েছিলেন কুয়েত প্রবাসী স্বামী। আজ দুপুরে ওই টাকা তোলার জন্য সোনালী ব্যাংকের শাখার ক্যাশ কাউন্টারে ৫১ হাজার টাকার চেক জমা দেই। টাকা হাতে পাওয়ার পর ওই তা গুনে দিতে এগিয়ে আসেন পাশে থাকা এক ব্যক্তি। তিনি এগিয়ে এসে বলেন, আপনি এত টাকা গুনতে পারবেন? দেন, গুনে দেই। পরে ওই টাকা গুনে দেওয়ার পর আমার হাতে দিলে আমি তা ভ্যানিটি ব্যাগে রাখি। কিন্তু ব্যাংক থেকে বের হওয়ার সময় দেখি, টাকাগুলো নেই, ওই ব্যক্তিও নেই।

ওই নারী আরও বলেন, আমি সবসময়ই এই ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে আসি কিন্তু এমন ঘটনা কোনোদিন ঘটেনি। করোনার সময়ে অনেক টাকা ঋণ হয়ে আছি, এখন কীভাবে কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।

সোনালী ব্যাংকের মাধবদী শাখার ব্যবস্থাপক নূরে আলম বলেন, ওই নারী আমাদের শাখা থেকে টাকা উত্তোলনের পর এক ব্যক্তিকে টাকাগুলো গুনে দেওয়ার অনুরোধ করেন। প্রতারক ওই ব্যক্তি কৌশলে টাকাগুলো নিয়ে পালিয়েছেন বলে শুনেছি। আমাদের ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কাউকে যদি টাকাগুলো গুনে দিতে বলতেন তাহলে এমন ঘটনা ঘটতো না। পুরো ঘটনাটি ওই নারীর বোকামির কারণে ঘটেছে। আর সোনালী ব্যাংক একটি রাস্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হওয়ায় আমরা চাইলেই তো সিসিটিভি ক্যামেরা কিনে সংযুক্ত করতে পারি না। তবে যোগদানের পরপরই সিসিটিভি ক্যামেরার জন্য সদর দপ্তর বরাবর আবেদন দিয়েছি।

মাধবদী থানার সহকারী উপপরিদর্শক রুবেল আহমেদ বলেন, থানায় এসে হালিমা বেগম নামের এক নারীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সোনালী ব্যাংকের সেই শাখায় যাই। তবে ব্যাংকটির ওই শাখায় একটিও সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় পালিয়ে যাওয়া ওই প্রতারককে চিহ্নিত করা যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।