ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হেমায়েতপুরসহ ৪ স্থানে হবে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল: মেয়র তাপস

সাভার করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
হেমায়েতপুরসহ ৪ স্থানে হবে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল: মেয়র তাপস

সাভার (ঢাকা):  বাটুলিয়া, হেমায়েতপুর, কেরানীগঞ্জ ও কাঁচপুরে ঢাকা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি বলেছেন, অচিরেই হেমায়েতপুর ও বিরুলিয়ায় পরিপূর্ণভাবে টার্মিনাল বাস্তবায়ন হবে।

এগুলোর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ভিত্তিতে আমরা কাজ শুরু করবো। আগামী বছর থেকে যদি আমরা বাস্তবায়নে যেতে পারি, তাহলে অচিরেই এটার সুফল পাবেন ঢাকাবাসী। এতে গণপরিবহন ব্যবস্থা একটি শৃঙ্খলায় আসবে।  

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) চারটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের জন্য প্রস্তাবিত স্থানগুলোর মধ্যে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের বাটুলিয়া পাড়া ও হেমায়েতপুর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মেয়র। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

মেয়র তাপস বলেন, ঢাকা সমন্বয় পরিবহন কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) আওতায় কয়েকটি সভা করেছি। গণপরিবহনকে সম্পূর্ণ শৃঙ্খলার ভেতরে আনার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে। সেজন্য আমরা আজ দু'টি জায়গা পরিদর্শন করলাম।  

তিনি আরও বলেন, আন্তঃজেলার যে বাসগুলো আছে, সেগুলো শহরের ভেতর দিয়ে যাতায়াত করে এবং শহরের টার্মিনালগুলো ব্যবহার করে। যেমন মহাখালী টার্মিনাল ও সায়দাবাদ টার্মিনাল। কিন্তু সিটি বাসগুলো সেই টার্মিনালগুলো ব্যবহার করতে পারে না। তার কারণে যেখানে সেখানে বাসগুলো রাস্তায় থাকায় যানজট ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। সেই বিশৃঙ্খলা থেকে শৃঙ্খলায় ফিরে আসতে বিশেষজ্ঞদের অভিমতের ভিত্তিতে ট্রার্মিনাল নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান এ পরিদর্শন করছি।  

এসময় তিনি বহির্বিশ্বের উদাহরণ দিয়ে বলেন, সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন শেষে আমরা বাস টার্মিনালগুলোর জন্য সুপারিশমালা দেব। যার ফলে অচিরেই শহরের বাইরে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালগুলো নির্মাণ করা হবে। এগুলো নির্মাণ করা হলে ঢাকা শহরে চাপ কমে যাবে। যেটা আমরা বহির্বিশ্বের দেখেছি যে আন্তঃজেলা বাসগুলো শহরের ভেতর ঢুকতে পারে না। শহরের বাইরেই যাতে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া যায় এবং সেখান থেকে শহরগামী পরিবহনগুলোতে গন্তব্যে যাতে পৌঁছাতে পারেন, সেই ব্যবস্থাটাই করার উদ্যোগ নিয়েছি।  

বিশেষজ্ঞরা ১০টি জায়গা চিহ্নিত করেছিলেন, যার মধ্যে নির্ধারিত চারটি জায়গার ভেতর আমরা দু'টি জায়গা আজ পরিদর্শন করলাম। বিরুলিয়ার বাটুলিয়া পাড়া ও হেমায়েতপুর পরিদর্শন করেছি। এরপর আমরা ভাটারচর, কেরানিগঞ্জ ও কাঁচপুরের দু'টি স্থান পরিদর্শন করবো। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের আওতায় যে কমিটি রয়েছে, তাদের নিয়ে বার বার সভা করেছি। সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে সবার উপস্থিততেই আমরা আজ পরিদর্শনে এসেছি, যোগ করেন ডিএসসিসি মেয়র।  

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের এ দু'টি জায়গাই অর্থাৎ বাটুলিয়া পাড়া ও হেমায়েতপুর পছন্দ হয়েছে। প্রতিকূলতা তো অনেকে, কাজটা কঠিনও। এ দুরূহ কাজ ৪৯ বছরেরও হয়নি। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। অচিরেই এ উদ্যোগ বাস্তবতা পাবে।  
এসময় মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, মহাখালী বাস টার্মিনালে বর্তমানে তিনটি জেলার বাস আসছে। যার কারণে মহাখালী এলাকায় একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। আমরা দুই মেয়র একসঙ্গে বের হয়েছি। মহাখালীর জন্য আমরা বিরুলিয়ার বাটুলিয়া এলাকা দেখেছি ও গাবতলীর জন্য হেমায়েতপুর দেখেছি। শহরের বাস গাবতলীতে থামবে ও আন্তঃজেলার বাস হেমায়েতপুরে থাকবে। এর জন্য আমরা পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও দুই মেয়র মিলে জায়গাগুলো পরিদর্শন করছি। বাকি দু'টি কেরানিগঞ্জ ও যাত্রাবাড়ীতে আমরা যাবো।  

বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির কাছে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালগুলোর জন্য প্রস্তাবিত স্পটগুলোর মধ্যে ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ডিএনসিসিরি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সাভারের দু'টি স্থান পরিদর্শন করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।