ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাহাত খানকে স্মরণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
রাহাত খানকে স্মরণ

ঢাকা: দেশের খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাহাত খানকে নিয়ে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় আয়োজন করে কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা।

সভায় রাহাত খানকে নিয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, যতদিন আমাদের ঐহিত্য-সংস্কৃতি, শিল্প-সাহিত্য এবং লালিত স্বপ্ন থাকবে, ততদিন রাহাত খান থাকবে। কেননা তিনি আত্মকেন্দ্রিক মানুষ ছিলেন না। তিনি সব সময় দেশের মানুষ ও রাজনীতি নিয়ে ভাবতেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, রাহাত খান তার লেখনীতে এ সমাজ ও কালকে ধারণ করেছেন। তার উপন্যাসের চরিত্রগুলো যেনো আমাদের জীবনের কাহিনী। পাঠক সেখানে নিজেকে খুঁজে পায়। সাহিত্য ও সাংবাদিকতা উভয় জায়গাতেই তিনি অনন্য। তিনি অত্যন্ত ভালো একজন সম্পাদক ছিলেন, কর্মীদের ভালোবাসতেন। তিনি তার কাজের মধ্যে দিয়ে আমাদের মধ্যে আরও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবেন।

রাহাত খানের স্ত্রী অপর্ণা খান বলেন, আজ ২৪ তারিখ আমাদের ২৪তম বিবাহবার্ষিকী, অথচ আজ তাকে নিয়ে শোকসভায় কথা বলতে হচ্ছে। অনেক মানুষকে দেখেছি, যারা এখন প্রতিষ্ঠিত, যারা কিছুদিন আগেও দাঁড়াতে পারতেন না। তাদের রাহাত খান বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছেন। তারা শুধু অর্থ নয়, অন্য ঋণেও রাহাতের কাছে ঋণী। অথচ ও মারা যাওয়ার পর তারা একবার খবরও নেয়নি। রাহাত খান ভিন্ন মাত্রার এক মানুষ ছিল, শুধু দিয়েই গেছেন, প্রাপ্তির প্রত্যাশা ছিল খুব কম।

এসময় অপর্ণা খান রাহাত খানের নামে একটি সাহিত্য পুরস্কার করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সাহিত্য, শিল্প-সংস্কৃতি, শিক্ষকতা, সাংবাদিকতা; নানা ভাবে কেটেছে রাহাত খানের জীবন। সেই সবগুলো একত্রিত করলেই রাহাত খানের প্রকৃত অর্থ খুঁজে পাওয়া যায়। সাহিত্যে সিরিয়াস উপন্যাসের মধ্যে তিনি নিজস্ব ধারা তৈরি করেছেন। রাহাত খান নিজে নিচু কণ্ঠের মানুষ থাকলেও তার লেখা ছিল অত্যন্ত উচ্চ কণ্ঠের। তার বিভিন্ন সময়ের কলামগুলো একত্রিত করলে একটা সময়কে তুলে ধরা হবে।

সভায় কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকার নেতা-কর্মীরাসহ বিভিন্ন মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
এইচএমএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।