ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশের হুমকি দিয়ে ধর্ষণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশের হুমকি দিয়ে ধর্ষণ ছবি: প্রতীকী

নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নে এক গৃহবধূ ও তার স্বামীর একান্ত মুহূর্তের ছবি কৌশলে নিজের মোবাইলে নিয়ে ওই গৃহবধূকে (১৯) একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রাকিবুল হাসান রাকিব (২২) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।  

শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

 

এ ঘটনায় রাকিবের মা রুনা বেগমকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রুনা বেগম চরফকিরা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বারিক ক্যাপ্টেন বাড়ির জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত চার বছর আগে চরফকিরা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের এক প্রবাসীর সঙ্গে ভুক্তভোগী নারীর বিয়ে হয়। তাদের সন্তানের জন্ম হওয়ার পর বিদেশে চলে যান গৃহবধূর স্বামী। অভিযুক্ত রাকিব একই বাড়ির বাসিন্দা ও ওই নারীর ভাসুরের ছেলে। এ সম্পর্কের কারণে গৃহবধূর ঘরে আসা যাওয়া ছিল রাকিবের। ঘরে আসা যাওয়ার কোন একসময় তাদের স্বামী-স্ত্রীর একান্ত মুহূর্তের কিছু অন্তরঙ্গ ছবি মোবাইলে ধারণ করেন রাকিব।  

পরবর্তীতে ওই ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে একাধিকবার গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন রাকিব। ভুক্তভোগী গৃহবধূ ঘটনাটি রাকিবের বাবা মাকে জানিয়ে কোন প্রতিকার পাননি। বরং উল্টো তারা তাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। নিজের সংসার ভেঙে যাওয়ার ভয়ে প্রবাসী স্বামীকে কিছুই জানাননি ওই গৃহবধূ।  

গত ২২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গৃহবধূর ঘরে আসেন রাকিব। এ সময় রাকিব গৃহবধূর কক্ষে ডুকে তার শিশু বাচ্চাকে পানিতে ফেলে হত্যার হুমকি ও ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবে বলে জোরপূর্বক আবারও ধর্ষণ করেন। একইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে গৃহবধূকে পুনরায় ধর্ষণের চেষ্টা চালান রাকিব। পরে রাকিবের সঙ্গে গৃহবধূর ধস্তাধস্তির শব্দ পেয়ে পাশের কক্ষ থেকে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় দ্রুত পালিয়ে গিয়ে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান রাকিব।  

গৃহবধূর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে বাবার বাড়ির লোকজনের সহযোগিতায় ২৪ ডিসেম্বর তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।  

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণ ও ধর্ষণের তথ্যগোপন করার অভিযোগে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার ৩ নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করে শনিবার দুপুরে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী গৃহবধূকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার মূলহোতা রাকিবকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
আরকেআর/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।