ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

বেনাপোল বন্দরে সোয়েটারের চালান আটক

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
বেনাপোল বন্দরে সোয়েটারের চালান আটক

বেনাপোল (যশোর): দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোলে দিয়ে অনিয়ম করে কোটি টাকা মূল্যের সোয়েটারের চালান পাচার চেষ্টার অভিযোগে টি.জে সোয়েটার লিমিটেড নামে একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের পণ্য চালান আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এদিকে রপ্তানিকারকের দাবি ট্রাক ভাড়া বাঁচাতে পণ্য চলানটি বাসাবাড়িতে নামিয়ে রাখছিলেন।

রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে সাড়ে ৫টায় বেনাপোল বন্দরের বাইপাস সড়কের একটি বাড়িতে ট্রাক থেকে পণ্য নামানোর সময় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চালানটি আটক করে।

আটক পণ্য চালানটির আমদানিকারক ভারতের বোম্বায়ের রিলাইন্স রিটেইল লিমিটেড। তারা ৩৭ হাজার ৪৪৬ ইউএস ডলার মূল্যের ২৬৫ কাটুন সোয়েটারের পণ্য চালানটি বেনাপোল বন্দর থেকে খালাসের জন্য দায়িত্বে ছিলেন খাজা শিপিং লাইন্স নামে এক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টকে।

এদিকে রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীর প্রতিনিধিরা জানান, আমদানিকারক সমস্যা দেখিয়ে মালামাল নিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ট্রাক ভাড়া বাঁচাতে তারা পণ্যচালানটি নামিয়ে বাসা বাড়িতে রাখা হচ্ছিল। তবে কাস্টমস ও বন্দরকে বিষয়টি অবগত না করিয়ে তারা অপরাধ করেছেন।

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, বেনাপোল বন্দরে এক ধরনের ব্যবসায়ী আছেন যারা নানা অজুহাত দেখিয়ে পণ্য চালান এভাবে ব্যক্তিগত অধীনে রাখেন। পরে বিভিন্ন অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ভারতে রপ্তানি করেন। এক্ষেত্রে যদি বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ওয়ারহাউজ গড়ে তোলা হয় তবে এমন অপরাধের সুযোগ থাকবে না।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার অনুপম চাকমা বাংলানিউজকে জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি বেনাপোল বন্দরে রপ্তানির উদ্দেশে আসা একটি বাংলাদেশি ট্রাক (ঢাকা মেট্র ট-১৩-৫৫১৭) ভারতে প্রবেশ না করে বন্দরের বাইপাস সড়কে একটি বাড়িতে মালামাল নামাচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পায়। দেখা যায় রপ্তানিকারক কাস্টমস ও বন্দর কাউকে অবগত না করে ভারত থেকে ৩০০ গজ দূরে বেনাপোলের বড়আঁচড়া গ্রামের এমপি মার্কেটের পেছনে একটি বাড়িতে ট্রাক থেকে পণ্য নামিয়েছেন। এসময় রপ্তানিকারকের প্রতিনিধিরা বসত বাড়িতে পণ্য নামানোর যৌতিক তেমন কোনো কারণ দেখাতে পারেনি। ভারত সীমান্ত এলাকায় এভাবে পণ্য চালানটি নামিয়ে পরবর্তীকালে সীমান্ত পথে পাচার হতে পারে এমন আশঙ্কায় চালানটি সাময়িক আটক করা হয়।

বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) আতিকুল ইসলাম জানান, নিয়ম রয়েছে বন্দর এলাকায় কোনো আমদানি-রপ্তানি পণ্য গুদামজাত করতে হলে কাস্টমস বা বন্দরকে লিখিতভাবে জানাতে হবে। এক্ষেত্রে তারা নিয়ম মানেননি। বন্দর ও কাস্টমসের উপস্থিতিতে চালনটি আটক করা হয়েছে। পরবর্তীকালে ব্যবস্থা কাস্টসম গ্রহণ করবেন। আগামীতে রপ্তানি পণ্য রাখতে বন্দরে ওয়ার হাউজ নির্মাণের পরিকল্পনা বন্দরের রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।