ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

জামালপুরে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যসেবা, দুর্ভোগে রোগীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
জামালপুরে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যসেবা, দুর্ভোগে রোগীরা ...

জামালপুর: রোগী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধরের প্রতিবাদ এবং সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম খানের অপসারণসহ ৩ দফা দাবিতে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকরা।

এ ঘটনায় জামালপুরের স্বাস্থ্যসেবা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।

তবে হাসপাতালগুলোতে জরুরিসেবা চালু রয়েছে বলে জানা গেছে।

জামালপুর সদরসহ ৭টি উপজেলাতে চিকিৎসাসেবা থেকে নিজেদের বিরতিতে রেখেছেন চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয়, সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরাকারি হাসপাতালেও পাওয়া যাচ্ছে না চিকিৎসাসেবা।

ঘটনার পরদিনই রোববার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক তার কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোকলেছুর রহমানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। গঠিত তদন্ত কমিটি রোববার বিকেলে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

তদন্ত কমিটির সময়সীমা ২৪ ঘণ্টা বেঁধে দিলেও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোনো প্রতিবেদন পেশ করতে পারেনি।

তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোকলেছুর রহমান কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ পরিদর্শন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা ও ঘটনার সময়ের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন। পরে হাসপাতালের সহকারী পরিচালকের কার্যালয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটির প্রধান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোকলেছুর রহমান জানান, ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত সব বিষয়েই তদন্ত করে দেখছি। দ্রুত সময়ের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

জামালপুর শহরের ইকবালপুর এলাকার গুরুতর অসুস্থ করিমন (৬৪) নামে এক নারী জামালপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে মারা যান। চিকিৎসকদের অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ তুলে রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। বহিরাগতদের হামলায় জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা চিকিৎসক চিরঞ্জীব সরকারসহ চার জন ইন্টার্ন চিকিৎসক গুরুতর আহত হন। এর জেরে একই দিন হাসপাতাল ক্যাম্পাসে বহিরাগত লোকজন ও ইন্টার্ন চিকিৎসদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক ছাড়াও সদরের ইউএইচএফপিও চিকিৎসক মো. লুৎফর রহমান পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন।

এ ঘটনায় জামালপুর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক চিকিৎসক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় পাঁচ জনের নামে এবং আরও অজ্ঞাত পরিচয়ের কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম (৪২) ও সাইদুর রহমান (৩৮) নামে দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।

এদিকে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত চিকিৎসকের শাস্তি দাবি করে মানববন্ধনসহ বিক্ষোভ মিছিল ও রাস্তা অবরোধ করে রোগীর আত্মীয় স্বজনরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।