নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় মাসব্যাপী লোক ও কারুশিল্প মেলা করোনার কারণে ২ মাস পিছিয়েছে দেওয়া হয়েছে। ১৪ জানুয়ারি মেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে মেলা আয়োজন করা হতে পারে মার্চে, জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক রবিউল ইসলাম জানান, সাধারণত জানুয়ারিতে আমরা মেলার আয়োজন করে থাকি। করোনা মহামারির কারণে এ বছর আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছি। সেই আবেদনের কোনো উত্তর আমরা এখনও পাইনি। ফেব্রুয়ারির শেষে কিংবা মার্চের প্রথমে আমরা মেলা শুরু করতে পারবো আশা করছি।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিলুপ্তপ্রায় লোকজ ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার, সংগ্রহ, সংরক্ষণ, গবেষণা, প্রদর্শন এবং পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রতিবছর এ মেলার আয়োজন করে থাকে।
সোনারগাঁ উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব আয়োজন করা হয়ে থাকে প্রতি বছর।
মেলায় নওগাঁ ও মাগুরার শোলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাড়ি, চট্টগ্রামের তালপাখা ও নকশি পাখা, রংপুরের শত রঞ্জি, সোনারগাঁর হাতি ঘোড়া পুতুল ও কাঠের কারু শিল্প, নক্শি কাঁথা, বেত ও বাঁশের কারুশিল্প, নকশি হাতপাখা, সিলেট ও মুন্সিগঞ্জের শীতল পাটি, কুমিল্লার তামা-কাঁসা পিতলের কারুশিল্প, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কারু পণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরা কোটা শিল্প, সোনারগাঁর পাটের কারু শিল্প, নাটোরের শোলার মুখোশ শিল্প, মুন্সিগঞ্জের পট চিত্র, ঢাকার কাগজের হস্ত শিল্প প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়।
এছাড়াও লোক কারু শিল্প মেলা ও লোকজউৎসবে বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালী গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভান্ডারি গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গাঁয়ে হলুদের গান, বান্দরবান, বিরিশিরি, কমলগঞ্জের-মণিপুরী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তী-মারফতি গান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, দোক খেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, লোকজ জীবন প্রদর্শনী, লোকজ গল্প বলা ও পিঠা প্রদর্শনী থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২১
এইচএডি