ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নৈসর্গিক পরিবেশে গড়ে উঠবে ‘বঙ্গবন্ধু বিনোদন পার্ক’

জুলফিকার আলী কানন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২১
নৈসর্গিক পরিবেশে গড়ে উঠবে ‘বঙ্গবন্ধু বিনোদন পার্ক’

মেহেরপুর: মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংনী উপজেলার চোখ তোলার মাঠ। রাস্তার দুই পাশে বৃক্ষরাজি, নানা পাখির কলরব, চারপাশে প্রকৃতির নৈসর্গিকতা আর অবারিত সবুজ মাঠে মনোরম পরিবেশ।

যেখানে ক্লান্ত পথিক কিংবা ছুটে চলা পথচারী সবাই একটু বিশ্রাম নেন।  

অথচ, সন্ধ্যার পরপরই সেখানে তৈরি হতো ভুতড়ে পরিবেশ। শুরু হতো ছিনতাই, বাস ডাকাতির মতো ঘটনা। ফলে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই গাংনী থানা পুলিশের একটি দল জায়গাটিতে টহল শুরু করতো, চলতো সারারাত। এক পাশে চেংগাড়া আরেক পাশে জোড় পুকুরিয়া, পূর্বে মহেশপুর ও পশ্চিমে ধর্মচাকি ও ভ্রমরদহ গ্রাম। চারিদিকে দূরত্ব এক কিলোমিটার বা দুই কিলোমিটারের বেশি হবে।
 কথিত আছে, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে গাংনী উপজেলার মহম্মদপুর গ্রামের দুই ভাই জমিজমা নিয়ে মামলায় জড়িয়ে পড়ে। মেহের কোর্ট থেকে ফেরার সময় এই গহীন মাঠের মাঝখানে এসে বড় ভাইয়ের চোখ উপড়ে নেন ছোট ভাই। সেই থেকেই মাঠটির নাম হয় ‘চোখতোলার মাঠ’। অভিশপ্ত এই চোখতোলার নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ হাতে নিয়েছেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন। ইতোমধ্যে চোখতোলার ওই স্থানে বঙ্গবন্ধু বিনোদন কেন্দ্রের সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর এখন থেকে গড়ে উঠতে শুরু করেছে ছোট ছোট দোকান পাট।  

মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন এমপি বলেন, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের চোখতোলা স্থানটি প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে ঘেরা। এখানকার নৈসর্গিকতা মানুষকে কাছে টানে। এই স্থানটিকে ঘিরে গড়ে উঠবে বঙ্গবন্ধু বিনোদন কেন্দ্র। এখানে থাকবে কফি শপ, শিশুদের বিনোদনের জন্য থাকবে একটি স্পেস, সব শ্রেণি পেশার মানুষ যেনো তাদের চিত্ত বিনোদনের জন্য এখানে আসতে পারে সেজন্য এখানে গড়ে উঠবে বিনোদন কেন্দ্র। সেই সঙ্গে অভিশপ্ত চোখতোলার মাঠের নামটিও মুছে যাবে।  
এছাড়াও গাংনীর ভারতীয় সীমান্তবর্তী কাজীপুর গ্রামের মাথাভাঙ্গা ব্রিজের নিচে, তেরাইল গ্রামের মধ্যে ও মটমুড়া ইউনিয়নের রাজাপুর কোদাইলকাটি গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীর কাটাগাং এলাকায়ও বঙ্গবন্ধু বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।  

মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন এমপি বলেন, কর্মক্লান্ত, পরিশ্রান্ত গাংনীর মানুষের চিত্ত বিনোদনের জন্য মনোমুগ্ধকর নৈসর্গিক পরিবেশ। এখানে শুধু বয়স্করাই নয়, শিশু ও বৃদ্ধরাও আসবেন সময় কাটাতে। এছাড়া এ পথ ধরেই স্বাধীনতার তীর্থভূমি মুজিবনগর, গাংনীর ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্ক, আমঝুপি নীলকুঠিসহ মেহেরপুর জেলার নৈসর্গিক দৃশ্য দেখতে আসবেন ভ্রমণ পিপাসুরা। তাদের বিনোদন ও প্রশান্তি লাভ করতে এই বিনোদন পার্ক সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বাংলাদেম সময়: ০৯৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।