ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ছিনতাইয়ের সময় চিৎকার দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২১
ছিনতাইয়ের সময় চিৎকার দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

ঢাকা: রাজধানীর শাহবাগ থানার হাইকোর্টের সামনে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন ক্যাবল টিভি ব্যবসায়ী মো. হামিদুল ইসলাম (৫৫)। এ সময় তিনি চিৎকার করলে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে, যার ফলে তার মৃত্যু হয়।

গত ২৩ জানুয়ারি বাসায় ফেরার পথে ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হন হামিদুল ইসলাম। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার ছায়াতদন্তের ধারাবাহিকাতায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

তারা হলেন- মো. সোহেল ওরফে এরাবিয়ান সোহেল, মো. জাহিদ হোসেন, মো. শুক্কুর আলী, মো. শাকিল ওরফে ডুম্বাস ও মো. সোহেল মিয়া।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর উত্তর মুগদা ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাকু, একটি মোটরচালিত রিকশা, ছিনতাই করা মোবাইল ও মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, হামিদুল ইসলাম গত ২৫ বছর ধরে সেগুনবাগিচা হাইকোর্ট এলাকায় ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কের ব্যবসা করতেন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তিনি সেগুনবাগিচা এলাকায় থাকতেন। তিনি জাসদের শাহবাগ থানা এলাকার সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

তিনি গত ২৩ জানুয়ারি নিজের পুরান ঢাকার ফ্ল্যাটের ভাড়া তুলে বাসায় ফেরার পথে ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হন। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ডিবি রমনা বিভাগ এ মামলার ছায়া তদন্তের ধারাবাহিকতায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ঘটনার বর্ণনায় তিনি জানান, গ্রেফতাররা ঘটনার দিন মোটরচালিত রিকশাযোগে হাইকোর্ট মাজার গেটের বিপরীত পাশে এসে অবস্থান করে। আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে হাইকোর্টের ঈদগাহ মাঠের সামনে ফুটপাতের উপরে হামিদুর রহমানের গতিরোধ করে তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ভিকটিম চিৎকার করলে গ্রেফতার সোহেল চাকু দিয়ে তার পায়ে ও হাতে আঘাত করে।

আহত হামিদুল ইসলামকে ফেলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। এরপর পথচারিরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২১
পিএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।